শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুরের তিনটি গ্রামে প্রায় এক হাজার বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। এসব জমিতে তিনটি ফসল ফলত। কিন্তু সাত আট বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে এক ফসল হচ্চে। এসব এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফসলি জমির জলাবদ্ধতা নিরসন ও নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। সোমবার দুপুরে বিহারমণ্ডল এলাকায় এ মানববন্ধনে কৃষকরা অংশ নেন তারা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন,আবদুর রহমান, মো. সামসুল আলম, আলী আকবর মেম্বার, মফিজুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান এবং মো.শহীদুর রহমান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্ষা মৌসুমে ছোটনা-নোয়াপাড়া, বিহারমণ্ডল গ্রামের প্রায় এক হাজার একর জমি প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাষনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ওই তিন গ্রামের কোন কৃষক চাষাবাদ করতে পারেনা। ফলে চাষের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও ক্ষদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক মাঠে নামতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষক মো. শহীদুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে তিন গ্রামের জমি ডুবে থাকে। ফলে তিন ফসলের জায়গায় এক ফসল করতে হয়। রোপা আমনের পাশাপাশি রবিশস্য আবাদ নিয়েও শঙ্কিত থাকে চাষিরা। পানি নিষ্কাষনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকলে কৃষকরা এখানে তিন ফসলে চাষাবাদ করতে পারত। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা বলছেন, কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকদের মাঝে নানা রকম কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছে। কিন্তু প্রণোদনা পাওয়ার পর বৃষ্টির জমানো পানিতে জমিতে চাষাবাদ করতে গিয়ে সে প্রণোদনা কোন কাজে আসছে না। সরকারি খরচে নালা খনন করে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করলে দুই হাজার কৃষক তিন মৌসুমেই চাষাবাদ করতে পারতো। কৃষকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে এখানকার সব জমি হাঁটু বা কোমর সমান পানিতে ডুবে থাকে। যা সহসাই সরে না, এ জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে। বৃষ্টির মৌসুম না আসতেই দ্রুত নালা খনন করে পানি নিষ্কাষনের দাবি জানান কৃষকরা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জমির পরিমান উল্লেখ করে লিখিত আবেদন করলে দ্রুত পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা হবে।