মানিক দাস //
কঠোর লকডাউনের কথা শুনেই ক্রেতার ভীড় ভীড় বেড়েছে চাঁদপুর শহরের মার্কেট গুলোতে। চাঁদপুর শহরের মার্কেটগুলোতে যে হারে নারী-পুরুষ আর শিশুদের কেনাকাটা করার ধুম পরেছে তাতে মনে হয় ঈদের কেনা কাটাকেও হার মানিয়েছে। এমন দৃশ্য দেখে মনে হবে চাঁদপুর শহরের মানুষ যেন করোনাকে জয় করে ফেলেছে। যেন মানুষ করোনাকে ভুলে ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত। বৈশ্বিক করোনা মরণব্যাধি চাঁদপুর শহরকে দিন দিন গ্রাস করেছে সেদিকে কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই জনসাধারনের।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে স্বাস্থ্য বিধি ও লকডাউন মানার তাগিদ দিলেও ব্যবসায়ী আর ক্রেতা তা কর্ণপাত করছে না। তারা যেন জেলা প্রশাসনের সাথে লোকুচুরি খেলা করছে। মাস্ক ব্যবহারে সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ থাকলেও এ বিষয়ে জনসাধারনের মাঝে মাক্স ব্যবহারের আগ্রহ তেমন একটা চোখে পড়েনি।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গতকাল সোমবার সকাল থেকেই চাঁদপুর শহরের বাজারে ছিলো মার্কেট আর বাজার গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।শহরের রেলওয়ে হকার্স মার্কেট, মীর শপিং সেন্টার, নিউ মার্কেট, পূরবি শপিং কমপেলক্স, ফজলু ম্যানসন, সেবা সিটি সেন্টার, সহ বিভিন্ন ডিপাটমেন্টাল স্টোর, বস্ত্র বিপনি গুলোতে ঠিক যেন ঈদের কেনাকাটার মতো নারী ক্রেতাদের ভিড় ছিল। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো  ছিলো দিনভর সিএনজি, রিক্সা আর ব্যাটারি চালিত অটোবাইকের দখলে।
শুধু শপিংমল গুলোতেই ভীড় ছিলনা ভীড় ছিল মুদি, মনোহারী, বেকারী দোকানসহ অন্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও।শহরের কিছু খাবার হোটেলে ও খোলা রেখে বেচা বিক্রি করতে দেখা যায়। শহরের মিজানুর রহমান চৌধূরী সড়কে (কালি বাড়ি থেকে পাল বাজার ব্রিজ), জে.এম.সেনগুপ্ত রোড ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে সারাক্ষণ ভ্রাম্যমান তরকারি আর ফল বিক্রেতাদের দখলে ছিল সড়ক।