করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে প্রবেশের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন গ্রাহকরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাইনও দীর্ঘ হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আর ব্যাংকের ভেতরে তাদের সেবা দিতে হিমশিম খান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকে এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ কারণে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে চালু থাকবে এটিএম এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে লেনদেন।
এদিকে মঙ্গলবার চাঁদ দেখা গেলে বুধবার থেকে বাংলাদেশে রোজা শুরু হবে। টানা বন্ধ শুরুর আগে শেষ কর্মদিবস মঙ্গলবার চাপ বেশি থাকবে বলে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকাররা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ব্যাংকে ঢোকাতে হচ্ছে বলে সময় বেশি লাগছে, তাতে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে, অপেক্ষাও বাড়ছে।
এদিকে মঙ্গলবার চাপের দিনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলার কথা থাকলেও সেই সার্কুলারের বিষয়টি জানতেন না অনেক ব্যাংক কর্মকর্তা।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে বিভিন্ন বিধিনিষেধ চলছে। এর আওতায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর সোমবার বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলে।