শেষ বলে রুদ্ধশ্বাস জয় পাঞ্জাবের
Published : Wednesday, 14 April, 2021 at 12:00 AM
মুম্বাইয়ের
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রানের বন্যা। পাঞ্জাবের করা ২২১ রানের জবাবে রাজস্থান
জিতে যায় যায় অবস্থা। শেষ ২ বলে দরকার মাত্র ৫ রান। ক্রিজে তখনও টিকে আছেন
আইপিএলের এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান সানজু স্যামসন।
তার
ব্যাট-বলে টাইমিং হচ্ছিল। ৬১ বলে তার রান ১১৯। কিন্তু শেষ দুই বলে সব
ওলটপালট। বাঁহাতি পেসার আসদ্বীপের পঞ্চম বল কভার ড্রাইভে সীমানায়
পাঠিয়েছিলেন। ১ রান হয়ে যায় অনায়েসে। কিন্তু ক্রিস মরিসের সঙ্গে প্রান্ত
বদল করলেন না স্যামসন। ওই ১ রান হয়ে গেলে পরের বলে একটি বাউন্ডারি হলেই
ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান। কিন্তু আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি বিদেশী
ক্রিকেটারেরর ওপর ভরসা নেই রাজস্থানের অধিনায়কের! ৪ বলে তার রান যে মাত্র
২।
পরের বল ছক্কায় উড়াতে গিয়ে ডিপ কভারে ক্যাচ দেন স্যামসন। ৪ রানে
ম্যাচ হেরে যায় রাজস্থান। পঞ্চম বলে ১ রান না নেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেট
দুনিয়ায়। কেউ কেউ স্যামসনের বীরত্বে খুশি। কেউ কেউ সামস্যানের সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে। তবে রাজস্থানের স্যামসনের ব্যাটিং ও সিদ্ধান্তে কোনো অভিযোগ
নেই। বরং তার বীরত্বে খুশি ফ্রাঞ্চাইজি।
রাজস্থানের ক্রিকেট
ডিরেক্টর কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ‘আমি মনে করি সানজু কাজটা নিজে শেষ করতে
চেয়েছিল। সে প্রায় করেও ফেলেছিল। সীমানা থেকে পাঁচ বা ছয় গজ দূরে ছিল সে।
আপনি যখন ফর্মে থাকবেন তখন আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে, আমি পারবো। সানজু সেই
কাজটাই করেছে। আপনার ব্যাটে লেগে কিংবা টাইমিং হয়েও ১ বা ২ রান পেতে পারেন।
কিন্তু সবেেত্র আপনার ইতিবাচক মানসিকতা থাকতে হবে। আমি মনে করি আগামীতে সে
আরও ১০ গজ দূরে বল পাঠিয়ে আমাদের জেতাবে।’
রাজস্থানের নিউ
জিল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিমি নিশাম বলেন, ‘১ রান নেওয়া বড় কথা
নয়। দুই বলে একটা কাজই হতো। হয় স্যামসন ছক্কা উড়াত। নয়তো মরিস একটি চার ও
ছক্কা মারত। স্যামসন যেভাবে ছক্কা উড়াচ্ছিল তাতে তার আত্মবিশ্বাস দ্বিগুন
ছিল।’
ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জারেকার টুইট করেছেন, ‘নতুন ব্যাটসম্যান
ক্রিস মরিসের চার মারার থেকে থিতু হওয়া স্যামসনের ছক্কা মারার সুযোগ বেশি
ছিল। স্যামসনের নিজেকে ব্যাটিংয়ে রাখার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।’
সতীর্থ,
টিম ডিরেক্টর বা ধারাভাষ্যকারের সমর্থণ পেলেও আসল কাজটা করতে পারেননি
স্যামসন। জয়, যার জন্য ২২ গজে মাঠে নামা। ৭ ছক্কা ও ১২ চারে সাজানো ইনিংসটি
সুন্দর ছিল। কিন্তু কাজটা অসমাপ্ত রেখে ফিরেছিলেন তিনি।