‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭) দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাবাদের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) গাছা থানায় নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে থানায় আনা হয়। জিএমপির গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রফিকুল ইসলাম মাদানী নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগার-২ এর জেলার আবু সায়েম জানান, ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গাছা থানায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল জিএমপির গাছা থানায় এবং ১১ এপ্রিল বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
গাছা থানার ওসি জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে গত ৭ এপ্রিল ভোররাতে আটক করে র্যাব। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার (ডিএডি) আব্দুল খালেক। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পঠানো হয়। আটককালে রফিকুল ইসলাম মাদানীর কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও জব্দকৃত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল ভিডিও চিত্রসহ পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেছে। এসব অ্যাডাল্ট ছবি ও ভিডিও তিনি নিয়মিত দেখতেন এবং সেগুলো স্টোর করতেন ও লিংক দিতেন। এজন্য রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর ৮(৫)(ক) ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৩ এপ্রিল সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল রিমান্ড শুনানির দিনে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন নাহার।
কথিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি বিভিন্ন মাহফিলে রাষ্ট্র তথা সরকারবিরোধী ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী উসকানি ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করেন। যা তার নির্দেশে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এতে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়।