
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কদিম খশিল্লা গ্রামে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় মিজানুর রহমান বাবুল (৪২) নিহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল হক। এ ঘটনায় লাবু ও জাহিদ নামে আরও দুই ব্যক্তি আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত মিজানুর রহমান বাবুল উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের কদিম খশিল্লা গ্রামের আ. রশিদের ছেলে ও বেহালাবাড়ি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচাত ভাই জিয়া বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মিজানুর রহমান বাবুলের দাদি উপজেলার নাগরবাড়ি ইউনিয়নের কদিম খশিল্লা গ্রামে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দান করেন। ওই জমিতে মাটি ভরাট করেন। জমির পাশের বাড়ির মালিক কোরবান আলীদের সাথে নিয়ে মাপ জোক করে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
কিন্তু মসজিদ নির্মাণ শেষ হলে কোরবান আলী মসজিদের ভেতর জায়গা পাবেন বলে দাবি করেন। রোববার (১৬ এপ্রিল) কথা কাটাকাটির এ পর্যায়ে ফালু শেখের ছেলে কোরবান, নুরু, মোংলা, আলম, কোরবান আলীর ছেলে ফজলু ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান বাবুলের মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করেন।
লাবু ও জাহিদ এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করেন। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপালে ভর্তি করেন। বাবুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফজলুল হক জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহতের চাচাতো ভাই জিয়া বাদী হয়ে ও ৬ জনের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা রেখে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।