Published : Wednesday, 21 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.04.2021 1:17:34 AM
তানভীর
দিপু: কুমিল্লা সদর হাসপাতলে স্থাপন করা হলো কুমিল্লার দ্বিতীয় ডেডিকেটেড
করোনা ইউনিট। হাসপাতালের নওয়াব ফয়জুন্নেছা ওয়ার্ডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায়
৩০ বেডের এই করোনা ইউনিটটি জেলায় করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থায় আরো একটি মাইল
ফলক। মঙ্গলবার দুপুরে এই করোনা ইউনিটের উদ্বোধন করেন জেলা করোনা প্রতিরোধ
কমিটির উপদেষ্টা ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
এসময় কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইনসহ চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার এই ইউনিটটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের আগেই সেখানে
ভর্তি হন ৩ জন। একমাত্র আইসিইউ ছাড়া এই ইউনিটে সেন্ট্রাল অক্সিজেন
সিস্টেম, নন ভেন্টিলেটর আইসিইউ, হাইফো অক্সিজেনসহ করোনা চিকিৎসার জন্য সব
ব্যবস্থাই থাকছে। আইসিইউ সিস্টেমও চালু হবে খুব শীঘ্রই। প্রথম সপ্তাহের
জন্য প্রতি শিফটে ৬ জন করে ডাক্তার থাকবেন এবং এই ওয়ার্ডে প্রাথমিক ভাবে
দায়িত্ব পালন করবেন ১৮ জন নার্স। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন ৬ জন।
কুমিল্লা
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবাইরক হোসাইন জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে
খুব দ্রুত আইসিইউ সেবা চালু করা হবে। প্রয়োজনে খুব দ্রুত এই ইউনিটে ১০০
বেড করা হবে। এছাড়া পিডব্লিউডি ও এশিয়ান উন্নয়ণ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে ৪০
শয্যার একটি অত্যাধুনিক আইসোলেশন সেন্টার, আইসিইউ ও সিসিইউসহ আরো একটি
আলাদা ইউনিট স্থাপন করা হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে
বলে আশা করছি।
উদ্বোধন শেষে কুমিল্লা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির
উপদেষ্টা ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার জানান,
আমরা কুমিল্লায় এটি দ্বিতীয় করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করতে পারলাম।
কিন্তু আমরা চাই আপনারা লকডাউনে ঘরে থাকুন, আশা করি কাউকে করোনায় আক্রান্ত
হয়ে এখানে আসতে হবে না।
এর আগে গত বছরের মার্চ মাসের শুরুতেই কুমিল্লা
মেেিডকেল কলেজে করোনা চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড করোনা ইউনিট স্থাপন করা হয়।
বর্তমানে এই ইউনিটে ১৯টি আইসিইউ ও ১১৬টি সাধারণ বেডে করোনা আক্রান্তরা
চিকিৎসা গ্রহন করছেন। বর্তমানে ১১৬টি সাধারণ বেডের বিপরীতে ১৪৪ জন রোগী
চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন আরো জানান, সরকারি নীতি মোতাবেক ৫
বেডের আইসোলেশন থাকার কথা থাকলেও কুমিল্লার উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সগুলোতে ১০ বেডের আইসোলেশন ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি আইসোলেশন
ওয়ার্ডেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে, যারা সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকে তাদের
জন্যই ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটগুলো স্থাপন করা হয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সগুলোতেও প্রতিনিয়ত করোনা আক্রান্তরা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।