ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মনোহরগঞ্জে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলো যুবলীগ
Published : Tuesday, 27 April, 2021 at 12:00 AM
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক ||
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের স্বেচ্ছাশ্রমে দুই হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিপুলাসার ইউনিয়নের কাঁচি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন ও মোস্তফা মিয়ার ৫৪ শতক জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, চলমান করোনাকালে শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার সামর্থ্য না থাকায় বিপুলাসার ইউনিয়নের কাঁচি গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন ও মোস্তফা মিয়া তাদের চাষকৃত ৫৪ শতক জমির ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েন। এমতাবস্থায় তারা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে ধান কেটে দেয়ার জন্য আশ্বস্ত করা হয়। সোমবার সকালে ইকবাল মাহমুদ প্রায় ২০ জন যুবলীগ নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে কৃষকদের জমিতে হাজির হন। পরে দুপুর পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে কৃষকদের বাড়ি বাড়ি নিয়ে পৌঁছে দেন।
উপজেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল আলম হিরণ ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে ধান কাটায় অংশ নেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহ সভাপতি হেলাল মজুমদার, নুরুল হুদা মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান সুমন, হাজি কাসেম, তাজুল ইসলাম, মোঃ সাফায়েত, মোঃ রুবেল, কবির হোসেন, মোঃ হাছান, দেলোয়ার হোসেন, খুরশিদ আলম, লোকমান হোসেন, দয়াল, মামুন প্রমুখ।
এ বিষয়ে কৃষক আনোয়ার হোসেন ও মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘একদিকে জমির ধান পেকে গেছে। অপরদিকে গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া খারাপ যাচ্ছে। ঝড় বৃষ্টির ভয় করছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে ধানের ক্ষতি হয়ে বিপাকে পড়তে হবে। বর্তমান বাজারে শ্রমিকদের মজুরিও বেশি। এমতাবস্থায় বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা কোন মজুরি ছাড়াই ক্ষেত থেকে ধান কেটে আমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।’
বিপুলাসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কৃষকরা কষ্ট করে তাদের সোনার ফসল ফলান। আর সেই ফসল যদি প্রাকৃতিক কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তাদের কষ্টের অন্ত থাকে না। আমরা এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিক সংকট থাকায় অনেক কৃষকই তাদের পাকা ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। যদি কোনো কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারেন, তা হলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে আমরা যুবলীগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’