পুলিশ জানায়, গুলশান দুই নম্বর এভিনিউয়ের ১২০ নম্বর সড়েকর ১৯ নম্বর প্লটের বি/৩ ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন মুনিয়া। চলতি বছরের মার্চ মাসে এক লাখ টাকা মাসিক ভাড়ায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন। সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে মুনিয়ার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে উপকমিশনার সুদীপ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মোসারাত জাহান রোববার তাঁর বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তাঁর বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলশান থানার পুলিশ মোসারাতের লাশের সুরতহাল করছিল। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে। আপাতত এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা ( নং ২৭) হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।