ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চান্দিনায় ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাটি বিক্রির অভিযোগ
Published : Sunday, 9 May, 2021 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদ-মাদ্রাসা ও অন্যের জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের সোনাপুর মৌজায় ২টি দাগের ৪৭ শতাংশ জমির মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ করেন দুই সহোদর।
তারা হলেন- চান্দিনা উপজেলার গণিপুর গ্রামের মরহুম হাজী ছিদ্দিকুর রহমান ভূইয়ার ছেলে মুশফিকুর রহমান ভূইয়া ও সাইদুর রহমান ভূইয়া। তারা উভয়ই মাধাইয়া বাজারের ব্যবসায়ী।
বাড়েরা ইউনিয়নের গণিপুর দাওরায়ে হাদিস মাদ্রাসা ও গণিপুর জামে মসজিদের ১২ শতাংশ জমির মাটি এবং তাদের পৈত্রিক ফসলী ৩৫ শতাংশ জমির মাটি ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সী জোর পূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগে এনে শনিবার (৮ মে) দুপুরে চান্দিনা হাইস্কুল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- মুশফিকুর রহমান ভূইয়া। তিনি বলেন- ‘দীর্ঘ এক বছর যাবৎ চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সি আমাদের দুই ভাইয়ের উপর নানা ভাবে অত্যাচার, জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলেই তার অমানবিক নির্যাতনের শিকার হই। তিনি আমার এক উশৃঙ্খল ভাতিজা যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক অস্ত্র মামলা রয়েছে তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে চালাচ্ছে তার সা¤্রাজ্য। ভাতিজাকে দিয়ে আমাদেরকে পৈত্রিক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। তার ভয়ে এলাকার কোন মানুষ টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন- এই বিষয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। মাটি ক্রেতা মাও. আব্দুস ছাত্তারকে বাঁধা দিলে তিনি বলেন, ‘যা বলার ভাইস চেয়ারম্যান জহির মুন্সিকে বলেন। তিনি আমার কাছে মাটি বিক্রি করেছেন’। বৃহস্পতিবার (৬ মে) চান্দিনা থানা পুলিশ গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করার পর শুক্রবার (৭ মে) এক্সিভেটর দিয়ে জোর পূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তারা কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম জানান- গত এক বছর আগে তানভির (অভিযোগকারীদের ভাতিজা) হারুন অর-রশিদ এর নিকট বিক্রি করেছিলেন। এ বিষয়ে তারা অভিযোগ করলে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই সম্পত্তির মূল মালিক তানভীরের ফুফু। পরে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা থাকলেও এর কোন সুরাহা না হতেই আবারও মাটি বিক্রি করে মাটি কাটার কাজ শুরু করে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম মুন্সি বলেন- ‘তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তিন ভাই ও তাদের ওয়ারিশদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান অবগত রয়েছেন। একাধিকবার শালিশ-দরবার হয়। তাদের ভাতিজা তানভীর এক বছর পূর্বে ওই জমির মাটি বিক্রি করেছে। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।’