ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
যাকাতের ফযীলত ও গুরুত্ব
Published : Sunday, 9 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.05.2021 1:17:16 AM
যাকাতের ফযীলত ও গুরুত্বপবিত্র কোরআনে সুরা তাওবাতে আল্লাহতালা এরশাদ ফরমান, হে রাসুল তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা (যাকাত) গ্রহন করুন। এর দ্বারা আপনি তাদেরকে পবিত্র করবেন এবং পরিশোধিত করবেন। হযরত আবু হে রায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে যে জনৈক বেদুঈন ব্যক্তি নবী করীম (স:) এর খেদমতে এসে বললেন, আমাকে একটি আমল বলেদিন যা করলে আমি জান্নাতে দাখিল হতে পারি। নবী (স:) বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবেনা। ফরয সালাত আদায় করবে, ফরয যাকাত প্রদান করবে এবং রমজানে সাওম পালন করবে। তিনি বললেন যাঁর হাতে আমার প্রাণ সে সত্তার কসম, আমি এথেকে কিছু বৃদ্ধি করব না কম ও করব না। তখন ঐ ব্যক্তি ফিরে যাওয়ার কালে নবী করীম (স:) বললেন, জান্নাতী কোন ব্যক্তিকে দেখে কেউ যদি আনন্দিত হতে চায় তবে সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয়। কুরআন মজীদ ও হাদিস শরীফ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় যাকাতের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআন মজিদে বত্রিশ জায়গায় যাকাতের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আটাশ জায়গায় নামাজও যাকাতের কথা এক সাথে উল্লেখ হয়েছে। বস্তুত ইসলামে নামায এবং যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করার কোন অবকাশ নেই। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়ীদ (রা:) বলেন নামায ও যাকাত উভয়ই ফরয করা হয়েছে। এদুটির মধ্যে কোন রূপ পার্থক্য করা হয় নাই। এ কারণে ইসলামে যাকাত আদায় এর সুষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রাসুল (স:) এরশাদ ফরমান কেউ যদি যাকাত আল্লাহর পুরুষ্কারের আশায় দেয় তাহলে তাকে পুরুস্কৃত করা হবে। কিন্তু যে যাকাত দিতে অস্বীকার করবে তার কাছ থেকে শক্তি প্রয়োগ করে যাকাত আদায় করা হবে এবং আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী তার অর্ধেক সম্পদও নিয়ে নিতে হবে। ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা:) এর খিলাফত কালে আরবের কিছু গোত্র যাকাত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। যদিও তারা নামাজ পড়ত। কিন্তু আবু বকর সিদ্দীক (রা:) যাকাত না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেছেন, আমি অবশ্যই সে সব লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করব, যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে। আল্লাহর কসম, ওরা যদি একটা উটের রশি ও দিতে অস্বীকার করে, যা রাসুল (স:) এর যামানায় তারা দিত। তাহলে আমি তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই অস্ত্র ধারন করব। পবিত্র কোরআসে সুরা আরাফে আল্লাহতালা এরশাদ ফরমান, আমার রহমত সকল কিছু পরিব্যপ্ত করে আছে সুতরাং আমি তা তাদের জন্য নির্ধারন করব, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে যাকাত দেয় এবং আমার নিদর্শনের প্রতি ঈমান রাখে। হযরত ইবনে উমর (রা:) বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (স:) বলেন: আমি আদিষ্ট হয়েছি এজন্যে যে আমি যুদ্ধ করব লোকদের সাথে যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দিবে যে আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই ও মুহাম্মদ (স:) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত দিবে।