ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণপাড়া বিরোধ মিটাতে গিয়ে হামলার শিকার ইউপি সদস্যের মৃত্যু
Published : Tuesday, 18 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.05.2021 2:39:11 AM
ব্রাহ্মণপাড়া বিরোধ মিটাতে গিয়ে হামলার শিকার ইউপি সদস্যের মৃত্যুইসমাইল নয়ন ॥ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারে দুই পক্ষের বিরোধ মিটাতে গিয়ে হামলার শিকার ইউপি সদস্য খলিল খান (৪৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতন্তের পর একই দিন বাদ আসর তার লাশ নিজ গ্রামে এনে সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেছেন স্বজনরা ও এলাকাবাসী। নিহত জলিল খান ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি সাহেবাবাদ গ্রামের মৃত সুরুজ খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সাহেবাবাদ গ্রামের মৃত জমির খার ছেলে আজ্জম খান সাহেবাবাদ বাজারে তাহার একটি দোকান ঘর একই গ্রামের আবদুল রাজ্জাকের ছেলে আবদুল মজিদ (৫৭) এর নিকট মাসিক ৪ হাজার ৫শ টাকা হারে ভাড়া দেন। ওই দোকানের ভাড়াটিয়া আবদুল মজিদ দোকানের বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তিনি বিল পরিশোধ করেননি এবং পরপর কয়েক মাসের ভাড়াও না দিয়েই দোকান ঘর ছেড়ে দেন। এ দিকে বিদ্যুৎ বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দোকান ঘরের বিদ্যুতের লাইনটি বিচ্ছিন করে দেয়। এ নিয়ে আজ্জম খান ও আবদুল মজিদ এর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও দ্বন্ধ হয়।
এ নিয়ে গত ৬ মে সন্ধায় স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল খানসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিরোধ মিটাতে সাহেবাবাদ বাজারে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে আবদুল মজিদের লোকজন ইউপি সদস্য খলিল খানসহ ওই বৈঠকে উপস্থিত ১০/১২জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহতদের প্রথমে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ইউপি সদস্য খলিল খানকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে (১৬ মে) ইউপি সদস্য খলিল খান মারা গেছেন। এ ঘটনায় গত ৬ মে খলিল খানের ছোট ভাই আবদুল জলিল বাদী হয়ে আবদুল মজিদকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই আবদুল জলিল বলেন, আমার বড় ভাই খলিল মেম্বার বিরোধ মিটাতে গেলে আবদুল মজিদ ও তার লোকজন খলিল মেম্বারসহ আমাকে ও আরও একজন ভাই এবং ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেছে।
ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আবদুল মজিদ ও তার লোকজন ইউপি সদস্য খলিল খানসহ ১০/১২জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। রোববার রাতে ইউপি সদস্য খলিল খান মারা গেছেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীরা পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।