ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসছে সিসি ক্যামেরা
Published : Wednesday, 19 May, 2021 at 12:00 AM
ডিজিটাল
মনিটরিং সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে
সরকার। ‘হাইওয়ে পুলিশের সমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ মহাসড়কে কোজ
সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৯
কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১
সালের জুন মেয়াদে ২৪৪ কোটি ২১ লাখ টাকার ‘হাইওয়ে পুলিশের সমতা বৃদ্ধি’
প্রকল্প হাতে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ২০১৮ সালের ৪
নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায়
প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা
বৃদ্ধি, যানচলাচল নির্বিঘœ করার ল্েয কোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের
মাধ্যমে সার্ভিল্যান্স সিস্টেম প্রবর্তনের ল্েয প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪৯০টি স্থানে মোট ১ হাজার ৪২৭টি
সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে সার্বণিক মহাসড়কে নজরদারি
করা সম্ভব হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় হাইওয়ে পুলিশের সমতা বৃদ্ধির ল্েয
হাইওয়ে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম (ক্যামেরা, কম্পিউটার, সফটওয়্যার এবং
আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ) সংগ্রহ এবং তাদের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স, ৩০টি মোটর
যানবাহনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনার অর্থের সংস্থান আছে।
সূত্র
জানায়, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রকল্পটির অনুকূলে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ
করা হয়েছে। ক্রয় কার্যক্রমের পর অবশিষ্ট অর্থ পরবর্তী বছরের এডিপিতে যোগ
করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ১২ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা
হলে ৪৩টি দরপত্র বিক্রি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র
দাখিল করে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কয়েকটি সভা করে। দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ
তারিখে ‘ওয়ান স্টেজ টু এনভেলপ’ পদ্ধতিতে পাওয়া দরপত্রগুলো কারিগরি
বিনির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা যাচাইয়ের ল্েয গঠিত টেকনিক্যাল
সাব-কমিটি ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট তারিখে পাওয়া দরপত্র ও দরপত্রের কারিগরি
বিষয়ে প্রস্তুত করা তুলনামূলক বিবরণী পর্যালোচনা করে। কারিগরি মূল্যায়ন
কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
দরপত্রে অংশ নেওয়া
প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল-ইজি অটোমোবাইল লিমিটেড, যৌথভাবে সামিট
কমিউনিকেশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো কম্পিউটার লিমিটেড, ফাইবার @ হোম লিমিটেড,
যৌথভাবে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালট্যান্টস লিমিটেড ও কম্পিউটার ওয়াল্ড
বিডি, যৌথভাবে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস
লিমিটেড টেকনিকালি রেসপন্সিভ হয়। কিন্তু চূড়ান্ত মূল্যায়নে যৌথভাবে স্মার্ট
টেকনোলজিস লিমিটেড ও ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের দরপ্রস্তাব সার্বিক
মূল্যায়নে রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তীতে দরপত্র মূল্যায়ন
কমিটি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেড এবং ডিজিকন
টেকনোলজিস লিমিটেডের দরপ্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করে প্রকল্পটি তাদের
দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব
অনুমোদনের জন্য বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে
উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।