Published : Tuesday, 18 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 18.05.2021 2:39:23 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
চুরির
অপবাদ দিয়ে এক কিশোরকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার
ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত রবিবার রাতে মামলা হওয়ার পর পুলিশ
একজনকে আটকপূর্বক সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কেন্দ্রিয় কারাগারে প্রেরণ
করেছে। গত বুধবার বিকাল থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা
ইউনিয়নের দণি নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে
ভিডিও ভাইরাল হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নির্যাতনের শিকার সোহাগ মিয়া (১৫)
একই গ্রামের আল-আমীনের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
গত বুধবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের কামারচর মোড় এলাকায় হোসেন মিয়ার ছেলে
সজিব মিয়ার দোকান থেকে একটি মোবাইল ও কিছু টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় একই
গ্রামের আল-আমীনের ছেলে সোহাগ মিয়া মোবাইল ও টাকা চুরি করেছে বলে সন্দেহ
করা হয়।
ওইদিন একই গ্রামের আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক
সোহাগকে তার বাড়ি থেকে আটক করে মুকবল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে
গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দিনব্যাপী অমানুষিক ভাবে নির্যাতন চালানো
হয়।
পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুল মিয়ার কাছ থেকে মোবাইলটি
উদ্ধার করার পর র্নিযাতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এ নির্যাতনের ঘটনা
কাউকে না বলতে এবং কিছুদিন গ্রাম ছাড়া থাকার হুমকি দিয়ে সোহাগকে ছেড়ে দেয়।
এ
বিষয়ে সোহাগ মিয়ার বাবা আল-আমীন বলেন, ‘আমার ছেলে চুরি না করেও তাকে চোরের
অপবাদ দিয়ে আশিক মিয়া, রুবেল মিয়া, মুকবল হোসেন, হোসেন মিয়া, আব্দুল
হান্নান, কামাল মিয়াসহ আরো অনেকে বেঁধে রেখে সারাদিন মারধর করেছে। আমি একজন
প্রতিবন্ধি অসহায় লোক। ভিা করে সংসার চালাই। আমি নির্যাতনকারীদের
গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক
কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় রোববার রাতে নির্যাতিত সোহাগ
মিয়ার মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযুক্ত
হোসেন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান
চলছে।’