ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এক মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে ফাইজারের ভ্যাকসিন
Published : Thursday, 20 May, 2021 at 12:54 PM
এক মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে ফাইজারের ভ্যাকসিনযুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক মাস ফ্রিজের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। দেশটির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বুধবার এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফলে ফাইজারের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ নিয়ে যে ধরনের জটিলতা ছিল তা অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ফাইজারের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেফ্রিজারেটরের ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনের বোতল প্রায় এক মাস সংরক্ষণ করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ভ্যাকসিনের ছোট ছোট শিশুগুলো একই তাপমাত্রায় মাত্র পাঁচদিন সংরক্ষণ করা যেত। কিন্তু এখন তা প্রায় এক মাস সংরক্ষণ করা যাবে। ফলে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও বিতরণ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এফডিএ'র সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভালুয়েশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস বলেন, এই পরিবর্তনের মাধ্যমে মার্কিন জনগণের কাছে এই ভ্যাকসিন আরও দ্রুত সহজলভ্য করা উচিত। এখন আগের চেয়ে আরও সহজে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ এবং বিতরণ করা সম্ভব।

এর আগে গত সোমবার ফ্রিজে এক মাস ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার অনুমোদন দেয় ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি।

তবে গত ফেব্রুয়ারিতেই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন শর্ত কিছুটা শিথিল করে এফডিএ। সে সময় জানানো হয়, ফার্মাসিউটিক্যাল ফ্রিজারে প্রায় দু'সপ্তাহ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে।

বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনকেই একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে মোট ১৬ কোটি ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৩ জনের শরীরে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৯৫ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৪ কোটি ৪৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩২২ জন।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ দুই হাজার ৩২৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ এক হাজার ৯৪৯ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ১৮০ জন।