করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত গোটা ভারত। দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে এসে দেখা যাচ্ছে বেড নেই, ঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন। সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করলেই বিপদ। লাগামছাড়া বিল ধরানো হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের হাতে।
সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতালের এই মাত্রাতিরিক্ত বিল দেখে হতবাক হতে হয়েছে সাহেব চট্টোপাধ্যায়েরও। ২৪ দিনে চিকিৎসার খরচ ১৮ লাখ টাকা। নিজের চাচার মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেই সরকারি হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন এই অভিনেতা। ঠিক কী হয়েছিল? বিশদে জানালেন সাহেব নিজেই।
তিনি জানান, হঠাৎই তার এক চাচা অমিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সল্টলেকের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় সরকারি হাসপাতালে বেড না পেয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল তাকে। তবে গত ২৪ দিন ধরে লড়াই করার পর গত মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার জানানো হয় তার অমিত কুমার করোনা মুক্ত হয়েছেন। ফলে মরদেদেহ পেতে কোনও অসুবিধে হয়নি। কিন্তু মৃত্যুর পরই হাসপাতালের তরফে ১৮ লাখ টাকার বিল ধরানো হয়।
২৪ দিনের জন্য মোট বিল হয় ১৮ লাখ ২৯ হাজার ৬২২ টাকা। এরই মাঝে আবার ৭৮ হাজার ৮৬৬ টাকার ছাড় দেয় হাসপাতাল। অর্থাৎ মোট বিল দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৬ টাকা। এই টাকা জমা দিয়ে রোগীর দেহ ছাড়িয়ে আনতে হয় পরিবারকে। এত টাকা বিলের কারণ জানতে চাইলে তারা একটি রশিদ ধরিয়ে দেন, যার কোনও অর্থই হয় না এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।
সেই প্রেক্ষিতেই সাহেব চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বোলেণ, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির পক্ষে এত বেশি চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই মমতা ব্যানার্জির কাছে আমার আবেদন তিনি যেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেন। এবং এই কঠিন সময়ে বাংলার মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দেন।