এ,বি,এম আতিকুর রহমান বাশার :
দেবীদ্বার
পৌরসভার নির্দিষ্ট ময়লা-আবর্জনা (বর্জ্য) ফেলার সুনির্দিষ্ট কোন ডাম্পিং
ষ্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা(বর্জ) ফেলা হচ্ছে। বর্জপোড়া আগুনে
দুষিত হচ্ছে পরিবেশ, ব্যাহত হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য, পুড়ছে মহামুল্যবান
অক্সিজেন ফ্যাক্টরীখ্যাত গাছ।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের
দেবীদ্বার পৌরসভার বারেরা, চাপানগর, সাইলচর এলাকার সড়কের দু’পাশে রয়েছে
সবুজ বনজ বৃক্ষ। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ১৯ বছর ধরে দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন
স্থান ও পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা (বর্জ) ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশে।
দুর্গন্ধ, বায়ুদূষণ হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
এ অবস্থা শুধু বারেরা,
চাপানগর, সাইলচর এলাকাতেই নয় দেবিদ্বার পৌর এলাকাধীন বারেরা সরকার বাড়ির
সামনে, ফুলগাছতলা, বানিয়াপাড়া, আলহাজ¦ জোবেদা খাতুন মহিলা বিশ^ বিদ্যালয়
কলেজ, আজগর আলী মুন্সী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এসব লক্ষণীয়।
দেবীদ্বার
পৌর এলাকার কয়েকমথ বাসা-বাড়ি, সরকারী-বেসরকারী অফিস, ৩৫টি সরকারী-বেসরকারী
হাসপাতাল, শতাধিক হোটেলের কয়েকটন বর্জ পৌর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মাধ্যমে
সড়কের দু’পাশে ফেলা হচ্ছে।
এসব ময়লা-আবর্জনা (বর্জ) থেকে জীবানু মুক্ত
রাখায় পৌরসভা কর্তৃক ময়লার স্তুপগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে।
এতে সড়কের পাশের মহামূল্যবান গাছগুলোও পুড়ে যাচ্ছে আগুনে। স্থানীয় একাধিক
ভুক্তভেগী জানায়, সাইলচর এলাকায় বহু গাছ সাম্প্রতিক সময়ে ময়লা-আবর্জনার
তেজস্ক্রিয়তায় মরে নিচিহ্ন হয়ে গেছে।
মহাসড়কের পাশে সাইলচর সরকার বাড়ির
মোঃ আলমঙ্গীর সরকার জানান, ময়লার আগুনের ধোয়ায় আমি বাড়িতে থেকে সঠিক
শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছিনা, তাছাড়া একই কারনে বাড়ির ফলজ গাছ গুলিতে ফল না
আসা এবং গাছগুলি মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গৃহিনী হুরবানু বাশার বলেন,
অপরিকল্পিতভাবে আবর্জনা পোড়ানোর নামে সড়কের পাশের গাছ ধ্বংস হলেও সংশ্লিষ্ট
কারোরই এ ব্যপারে নজরধারী নেই। এ অবস্থায়, পরিবেশসহ মহাসড়কের পাশে থাকা
বনজ সম্পদ রক্ষায় মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে আশু ব্যবস্থা নিতে
দেবীদ্বার পৌরসভা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ
বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ-প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন গাছ আমাদের নয়, বন
বিভাগের তবে জায়গা আমাদের। দেবীদ্বার পৌরসভা আমাদের অনুমতি না নিয়েই সওজের
জায়গায় ময়লা ফেলছে যা ঠিক নয়।
দেবীদ্বার-মুরাদনগর অঞ্চলের বন কর্মকর্তা
আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে এবং মৌখিকভাবে বাধা দিয়েছি।
উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করব, ওনাদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী
ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার পৌর সভার সচিব মোঃ ফখরুল
ইসলাম আগুনে ময়লা পুড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমাদের নির্দিষ্ট ডাম্পিং
ষ্টেশন না থাকায় জিবানু ছড়িয়ে না পরার জন্য বর্জগুলো আগুনে পোড়া হচ্ছে।
পৌর এলাকার ফতেহাবাদ মৌজায় এক একর জমি ক্রয় করে ডাম্পিং ষ্টেশন তৈরির
প্রশাসনিক অনুমতি পেয়েছি। শিগ্রই জেলা পরিষদ মুল্যায়ন শেষে আগামীতে তা চালু
করার জন্য রাস্তা তৈরি এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করা হবে।