তারাণ্যনির্ভর শ্রীলংকার বিপক্ষে সাকিব-তামিমরা নিজেদের চেনা মাঠে ব্যাটিংয়ে নেমে যেভাবে কাঁপাকাঁপি করছিলেন তাতে মনে হয়েছিল উইকেটে হয়তো বৈচিত্র আছে। তবে টাইগারদের চেনা মাঠে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ইনিংস শুরু করে শ্রীলংকা। টাইগারদের করা ২৫৭ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪.৫ ওভারে ৩০ রান তুলে নেয় লংকানরা।
আগের ওভারে তাসকিন আহমেদকে পরপর তিন বলে বাউন্ডারি হাঁকানো ধানুশকা গুনাথিলাকার উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মিরাজের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন গুনাথিলাকা। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২১ রান করেন তিনি।
এর আগে মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ২৫৭ রানের মাঝারি ইনিংস নিয়েই জয়ের স্বপ্ন দেখেছে টাইগাররা।
তবে এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আজ মোস্তাফিজ, তাসকিন, সাকিব ও মিরাজদের দুর্দান্ত বোলিং করতে হবে।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে যায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।স্কোর বোর্ডে মাত্র ৫ রান যোগ হতেই উইকেট হারান লিটন দাস। রানের খাতা খুলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্টের স্টাইলে ব্যাটিং করে ৩৪ বলে মাত্র ১৫ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৪৩ রানে ফেরেন তিনি।
ইনিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া তামিম ইকবাল ফেরেন ফিফটি পূর্ণ করে। ৭০ বলে ৫২ রান করে আউট হন বাংলাদেশ দলের এই অধিনায়ক।
এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
৯৯ রানে প্রথমসারির ৪ ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ১০৯ রানের জুটি।
ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথে হাঁটা মুশফিক শেষ পর্যন্ত আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন। মাত্র ১৬ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৭ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৮৪ রান করে দলীয় ২০৮ রানে আউট হন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মুশফিক আউট হওয়ার পর ৭০তম বলে ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৪তম ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফিফটির পর নিজের ইনিংসটা আর লম্বা করতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার; ফেরেন ৭৬ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করে।
শেষদিকে আফিফ হোসেনের ২২ বলের অপরাজিত ২৭ আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ৯ বলের ১৩ রানের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ দল। শ্রীলংকার হয়ে ৪৫ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।