সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত অনেকটাই শেষ পর্যায়ে।
টানা দুই বছরের নানা নাটকীয়তার পর নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রসিকিউটর গ্র্যান্ড জুরি প্যানেল আহ্বান করেছেন। এই জুরি প্যানেলই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপরাধ আইনে বিচার শুরু হবে কিনা। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভ্যান্স জুরি প্যানেল আহ্বান করেছেন। এই জুরি প্যানেল শুধু ট্রাম্পই নয়, তার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হবে কিনা, তা নির্ধারণ করবেন।
জুরি প্যানেল আগামী ছয় মাস সপ্তাহে তিন দিন সভায় মিলিত হয়ে নথিপত্র পরীক্ষা করবেন। রাষ্ট্রপক্ষের কথা শুনবেন।
ট্রাম্পের কোনো প্রতিক্রিয়া এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অবশ্য ট্রাম্প আগেই নিউইয়র্কে তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের প্রক্রিয়াকে ‘ভূত খোঁজার’ আরেকটি প্রচেষ্টা বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন। সিএনএন ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে ম্যানহাটনের ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও তার তদন্ত দল ট্রাম্পের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত করছেন। তাদের তদন্তে দেখার বিষয়— ট্রাম্পের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক কর দিয়েছে কিনা।
ঋণদাতা ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোয় সম্পদের মূল্য সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে কিনা। এসব মূল্যের ভিত্তিতে কর পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায়ই শুরু হয়।