ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইয়াসের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে ভেঙে গেছে সড়ক; বিপাকে লাখো মানুষ
Published : Wednesday, 26 May, 2021 at 6:42 PM
 ইয়াসের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে ভেঙে গেছে সড়ক; বিপাকে লাখো মানুষপ্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়েছে মেঘনা উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরেও। বুধবার দুপুরে হঠাৎ জোয়ারের পানি অতিরিক্ত বেড়ে কমলনগরের একাধিক সড়ক ভেঙে কয়েকটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে কমলনগর ও রামগতির নদী তীরবর্তী অন্তত ৬টি গ্রামের শত শত ঘর বাড়ি ডুবে গেছে।

এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এ দুই উপজেলার লাখো মানুষ। বেরি বাঁধ না থাকায় যে কোন ধরণের বন্যা কিংবা জলোচ্ছাসে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হন এ উপকূলের নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। সরকারের সহায়তা চাইলেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার বিকাল ৪টায় মেঘনা তীরবর্তী কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ও নাসিরগঞ্জের  নদী তীর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে  জোয়ারের প্রবল পানির চাপে স্থানীয় নাসিরগঞ্জ বাজার থেকে মতির হাট সড়কের একাধিক স্থানে কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙে যোগোযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একই সঙ্গে মুহুর্তেই লোকালয়ে পানি ঢুকে শতশত ঘরবাড়ি ডুবে যেতে দেখা যায়।

এসময় আশে পাশের নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে রাস্তার পাশে আশ্রয় নেন। কেউ গৃহপালিত পশু নিয়ে নিরাপদে সরে আসার দৃশ্যও চোখে পড়ে তখন। এ দু এলাকায় শুধু নয় এদিন এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন রামগতি ও কমলনগরের নবীগঞ্জ, কালকিনি ও রামগতির চর আব্দুল্যাহসহ ৬ গ্রামের বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেড়ী বাঁধ না থাকায় মেঘনার ভাঙ্গনের মুখে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন তারা। ইয়াসের প্রভাবে পানিবন্দিরা পড়েছেন এখন চরম বিপাকে। খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। আবার নদী তীরের এসব বাসিন্দারা কোন সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও তোলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও অভিযোগ বিষয়ে কিছু না বললেও বেরি বাঁধের দাবি করেন ।  

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়  সুত্রে জানা যায়, সরকার ২শ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগতি ও কমলনগর অংশের সাড়ে ৬ কিলোমিটার মেঘনা তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করলেও এখনো ৩১ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, ইয়াসের প্রভাবে এক মিটার পানি বেড়ে মেঘনা উপকূলের বিভিন্ন সড়কের ক্ষতি হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আশা করা যায় পানিগুলো দুই একদিনের মধ্যে নেমে যাবে। বেরি বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি। এদিকে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের  সহায়তার আশ্বাস দিলেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।