জাপানজুড়ে অসন্তোষ, বিক্ষোভ, বিরোধীতা- অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিপক্ষে বলতে গেলে পুরো জাপান। কিন্তু সরকার চায় শুধু এই গেমসটি আয়োজন করতে। একদিন আগে অলিম্পিক বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে গেমসের অফিসিয়াল পার্টনার এবং জাপানের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা আসাই শিমবান।
কিন্তু বিরোধীতাকারীদের কোনো কথাই কানে তুলছে না জাপান সরকার এবং অলিম্পিকের আয়োজক আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলমান স্টেট ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) জারি থাকা কিংবা আরও বর্ধিত করা হলেও অলিম্পিক গেমস থাকবে নিরাপদ।
অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে জড়িত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গেই নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে জাপান সরকার এবং একই সঙ্গে সবাইকে আস্বস্থ করা হচ্ছে, করোনা মহামারিতে গেমস থাকবে নিরাপদ এবং শঙ্কাহীন। শুধু তাই নয়, চলমান জরুরি অবস্থা আরও বর্ধিত করা হলেও গেমসের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তায় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালেই অলিম্পিক গেমস এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেয়া হয়। এক বছর পিছিয়ে দেয়া হলেও চলতি বছর অলিম্পিক আয়োজনের ব্যপারে কোনোভাবেই রাজি নয় জাপানের জনগন। বিভিন্ন জরিপে উঠে আসছে অধিকাংশ জাপানিই চায় না দেশটিতে আর অলিম্পিক আয়োজন হোক। এমনকি দেশব্যাপি ব্যাপকহারে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার পরও।
টোকিওসহ জাপানের প্রায় অধিকাংশ শহরেই চলমান রয়েছে জরুরি অবস্থা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উর্ধ্বগতির কারণে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। আগামী ৩১ মে জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু জাপান সরকার চিন্তা করছে, এই অবস্থা আরও বাড়িয়ে নেয়ার জন্য। কর্মকর্তারা বলছে, পুরো জুনেও জরুরি অবস্থা চলমান থাকতে পারে। ২৩ জুলাই পর্দা ওঠার কথা রয়েছে টোকিও অলিম্পিক গেমসের।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা অলিম্পিকে অংশ নিতে জাপান সফরের ব্যপারে নিরুৎসাহিত করেছে তাদের অ্যাথলেটদের। কিন্তু অলিম্পিক আয়োজকরা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কবার্তা গেমস আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বুধবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাপান সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, তারা খুব ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখছে অলিম্পিক গেমসের বিষয়ে।
এখনও পর্যন্ত জাপানের মাত্র ৫ ভাগ লোক ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। দেশটিতে মোট ৭ লাখ ১৯ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে। যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ১২ হাজার ৩৯৪ জন।