রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক ইকরামুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বনগ্রাম সার্বজনীন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ইকরামুল হকের দাফনের আগে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা ও বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্যের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
এসময় বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মতিন ফেরদৌস, নবারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন আলীসহ গণ্যমান ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ইকরামুল হক ১৯৭০ সালে দ্য পিপলস পত্রিকার ফরিদপুর প্রতিনিধি হিসেব কাজ শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজবাড়ীর ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ ও গবেষণায় নিযুক্ত হন। তিনি মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।