গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে সফটওয়্যার কিনবে ইউজিসি
Published : Monday, 31 May, 2021 at 12:00 AM
দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে এন্টি প্লেজারিজম সফটওয়্যার ‘টার্নিটিন’ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি।
রোববার ইউজিসির ‘প্লেজারিজম চেকার ওয়েব সার্ভিস’ ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ নিয়মিতই আসছে। গত কয়েক বছরে কয়েকজন শিক্ষককে এ অভিযোগে শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে।
‘চৌর্যবৃত্তির ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়’ চুরি শনাক্ত করতে একটি নীতিমালাও প্রয়োজন বলে মনে করেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকায় গবেষণা কার্যক্রমে চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। টার্নিটিন সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
“দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের জন্য এ সফটওয়্যারের একটি রোডম্যাপ করা হবে। সফটওয়্যারটি বেশ ব্যয়বহুল। তাই এর সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।”
ইউজিসির আরেক সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের বলেন, প্রাথমিকভাবে ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সফটওয়্যারের সেবা দেওয়া হবে।
“পর্যায়ক্রমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। এর মাধ্যমে গবেষণার স্বত্ত্ব সংরক্ষণ ও মৌলিকত্ব নিশ্চিত করা সহজ হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমের ‘গুণগত মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে’ এই সফটওয়্যার কাজে আসবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এর লক্ষ্য হচ্ছে গবেষণায় যাতে কোনো ধরনের চৌর্যবৃত্তির ঘটনা না ঘটে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি করে দেশ খুব বেশি দূর এগোতে পারবে না।”
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। ‘টার্নিটিন’ সফটওয়্যার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা জানতে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
এছাড়া কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে এ সফটওয়্যারের সেবা পাবে, কীভাবে এর ব্যবহার হবে এবং ব্যয় নিধার্রণ আলাদা একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসির সদস্য ও কর্মকর্তারা ছাড়াও পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সভায় অংশ নেন।