অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই)।
এখনকার মাসে সাড়ে ৬ কোটি ডোজের জায়গায় জুনে প্রায় ৯ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করা হবে বলে কোম্পানির এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে বাড়তি চাহিদার কারণে সেরাম তাদের মাসিক উৎপাদন ক্ষমতা এর মধ্যে একদফায় দেড় কোটি ডোজ বাড়িয়ে সাড়ে ৬ কোটি করেছে।
তবুও ১৩০ কোটি মানুষের দেশটি সবার টিকার যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনকারী দেশটি। এতে বাংলাদেশসহ অনেক দেশ বিপাকে পড়েছে।
কোভিড-১৯ টিকার কয়েকটি এখন উৎপাদন হচ্ছে ভারতে। এর একটি একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, যা বানিয়ে দিচ্ছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
প্রধান দুটির আরেকটি টিকা ভারতেই উদ্ভাবন হয়েছে। কোভ্যাক্সিন নামে এই টিকা উদ্ভাবন করেছে হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক।
বিভিন্ন রোগ সারাতে বিশ্বে উৎপন্ন টিকার ৬০ শতাংশই তৈরি হয় ভারতে। এর এক্ষেত্রে বড় অবদান বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের।
বেসরকারি আরেক প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক প্রতি মাসে দুই কোটি ডোজ কোভ্যাক্সিন টিকা তৈরি করছে বলে নয়া দিল্লি সরকার জানিয়েছে।
ভারত বায়োটেকের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৯০ লাখ। চাহিদার কারণে তাদেরও উৎপাদন বাড়াতে হয়েছে।
জুলাই মাসে তারা উৎপাদন এখনকার দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি সরকারকে দিয়েছে। তখন তাদের উৎপাদন দাঁড়াবে মাসে সাড়ে ৫ কোটি ডোজ।
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের বাইরে রুশ টিকা স্পুৎনিকও ভারতে তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। জুলাই নাগাদ রুশ টিকাও মাসে ১ কোটি ২০ লাখ ডোজ তৈরির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
বিশ্বে ‘টিকার কারখানা’ হিসেবে পরিচিত ভারতে গত ২৩ মে পর্যন্ত ১৯ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
টিকাদানে গতি আনলেও টিকার জন্য রাজ্যগুলোর হাহাকার থামেনি। অনেক রাজ্য সরকার দেশের বাইরে থেকেও টিকা আনতেও উদ্যোগী হয়েছে।