আবাহনীর জার্সিতে প্রথমবার ঢাকা লিগে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সোমবার দীর্ঘবিরতির পর শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ঢাকা লিগে তার ব্যাটেই জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে আবাহনী। আগে ব্যাটিং করা আবাহনীকে ১২১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পারটেক্স। কিন্তু বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে ডার্কওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে আবাহনীর নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৭০। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটেই জিতে যায় ঐতিহ্যবাহীরা।
অবশ্য কার্টেল ওভারের ম্যাচটিতেও খেলতে নেমে চাপে পড়েছিল আবাহনী। ৭.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান তুলতে পেরেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত মুশফিকের দৃঢ়তায় শেষ হাসি হেসেছে আবাহনী।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে মুশফিকের ত্রাতা বনে যাওয়াতেই সিরিজ জিততে পেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা তিনি টেনে আনলেন ঘরোয়া লিগেও। তবে শুরুতেই আউট হয়ে যেতে পারতেন মুশফিক। ১ রান নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ চৌহানের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়তে পারতেন এই উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান।ভাগ্য ভালো যে, ফিল্ডারদের জোড়ালো আবেদনের পরেও আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। শুরুতে কিছুক্ষণ অস্বস্তিতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
মুশফিক রান পেলেও ব্যর্থ ছিলেন নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন। নাঈম ১৭ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন। অন্যদিকে নাজমুল বাজে শট খেলে শট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। ৫ বলে তার সংগ্রহ ছিল ১ রান! জাতীয় দলের তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেনও ব্যর্থ ছিলেন এদিন। ৪ বলে ২ রান করে সাইফুল হায়াত হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে ইমরান আলী, শাহবাজ ও নিহাদুজ্জামান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে অধিনায়ক তাসামুল হকের ৬৫ রানের সুবাদে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২০ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিল। মেহেদী-তাইজুলদের সামনে তাসামুল ছাড়া কোন ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাসামুল ৫৪ বলে ৯ চারে ৬৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। শেষ দিকে মঈন খান ২৫ বলে ২২ রান করলে পারটেক্স কোন রকমে ১২০ রান সংগ্রহ করে।
আবাহনী বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ছিলেন সেরা বোলার। ১২ রান খরচায় তিনি দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা ৩১ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট। শহীদুল ২৪ রানে নিয়েছেন একটি উইকেট।