চট্টগ্রামে চুরি শিশু সাড়ে ৫ মাস পর হবিগঞ্জে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
Published : Wednesday, 2 June, 2021 at 12:00 AM
চট্টগ্রাম থেকে চুরি করা এক শিশুকে সাড়ে পাঁচ মাস পর হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হবিগঞ্জের
বাহুবল উপজেলা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার
অভিযোগে এক নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালী
থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।
মঙ্গলবার শিশুটিকে চট্টগ্রামে আনার পর তার মার কোলে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- সুলতানা বেগম সুমি (২৬) ও মো. ইসমাইল (৩৫)।
ওসি
নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিশু চুরির এই ঘটনায়
তারা অনেক দিন থেকে কাজ করছিলেন। বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্য একত্র করে
সুলতানার খোঁজ বের করতে পারেন।
তাকে সিলেটের শাহজালাল মাজার এলাকা থেকে
গ্রেপ্তারের পর ইসমাইলকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া
তথ্য ধরে হবিগঞ্জের এক দম্পতির কাছে বেড়ে উঠতে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করা
হয় বলে তিনি জানান।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর
নগরীর রেলওয়ে স্টেশন কলোনীর বাসা থেকে আট মাস বয়সী ফারহান নামে এক শিশু
চুরি করে নিয়ে যায় সুলতানা। বর্তমানে তার বয়স এক বছর এক মাস।
তিনি বলেন,
“সুলতানা এবং শিশু ফারহানের বাবা ও মা পূর্ব পরিচিত এবং বাসায় যাতায়াত
ছিল। ঘটনার দিন সুলতানা স্টেশন কলোনীতে ফারহানদের বাসায় গিয়ে তাকে কোলে
নিয়ে আদর করে।
এক সময় তার মা তসলিমা ঘরের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে শিশুটিকে নিয়ে সটকে পড়ে সুলতানা।“
গ্রেপ্তারের
পর সুলতানা পুলিশকে জানিয়েছে, শিশুটিকে সে ইসমাইলের কাছে দেন। পরে
হবিগঞ্জে নিয়ে এক দম্পতির কাছে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। শিশুটি এতিম
এবং রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছে বলে ওই দম্পত্তিকে জানায়।
ওসি আরও জানান, যে
দম্পতির কাছে তারা শিশুটিকে বিক্রি করে তারাও নি¤œ আয়ের। ওই দম্পতি পাঁচ
হাজার টাকাও পরিশোধ করতে পারেনি। ৯০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দফায় দফায় দেয়ার
আশ্বাস দিয়েছিল।
ওসি নেজাম বলেন, সুলতানার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারাঘাট হলেও থাকতেন চট্টগ্রামের বিআরটিসি বাস কাউন্টার এলাকায়।
শিশুটিকে চুরির পর সিলেটে পালিয়ে গিয়ে শাহজালাল মাজার এলাকায় বসবাস শুরু করেন।