নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের ওপর গুলির ঘটনায় প্রতিপক্ষের ৮৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। কাদের মির্জার অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সুজন মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১ জুন) নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের ২ নম্বর আমলি আদালতে মামলাটির উপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শংকর চন্দ্র ভৌমিক ও সুবির মজুমদার জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুকে প্রধান করে ৮৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে দ্বিতীয়, সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে তৃৃৃতীয় এবং চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফকে চতুুর্থ আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৯ নস্বর ওয়ার্ডের হড়াইন্নাগো বাড়ির সামনের সড়কে কাদের মির্জার অনুসারীদের ওপর গুলি চালানো হয়। ওই ঘটনায় কাদের মির্জার ৬ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়। তবে, বিভিন্ন সমাবেশে বক্তৃতাকালে কাদের মির্জা এই ঘটনায় তার ১৫ জন অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি করেন।