ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বরুড়ায় গৃহধূকে হত্যার অভিযোগে মামলা
Published : Thursday, 3 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.06.2021 1:35:21 AM
বরুড়ায় গৃহধূকে হত্যার অভিযোগে মামলাবশিরুল ইসলাম: কুমিল্লার বরুড়ায় শিউলি আক্তার নামে এক এক গৃহবধূকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূ শিউলি বরুড়ার চিতড্ডা ইউনিয়নের মুড়িয়ারা পূর্বপাড়ার জয়নাল আবেদীনের কন্যা ও একই গ্রামের সহিদ মিয়ার পুত্র মো: শামিম ওরফে সীমা’র স্ত্রী। গত ৩০ মে সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে শিউলির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে শিউলির স্বামী-শ্বশুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীর বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত আাড়াই বছর পূর্বে বরুড়া উপজেলার মুরিয়ারা শিতলপুর গ্রামের সহীদ মিয়ার পুত্র মো: শামীম প্রকাশ সীমা’র (৩০) সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ হয় একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের কন্যা শিউলী আক্তারের। বিবাহের পর থেকে শিউলী আক্তারের স্বামী টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করতো। নানা সময়ে এই নির্যাতনের বিষয়টি শিউলীর পরিবার জানতে পেরে গ্রাম্য শালিশে সমাধানের চেষ্টা করে । নিহতের বড় ভাই কাদের আরো জানান,  গত ৩০ মে গভীর রাতে কোন এক সময় তার বোন শিউলীকে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে শিউলী মারা গেলে তাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়। তার বোন শিউলীকে শশুরবাড়ীর লোকজন দীর্ঘদিন থেকে টাকার জন্য শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বোনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাদের সন্দেহ হয়।  তার বোনকে খাটের উপর দক্ষিন শিউরী শোয়ানো দেখে তাদের সন্দেহ আরো গাড়ো হয় । তারা মনে করেন তার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাকট সাজানো হয়েছে। ঘটনার সময় শশুরবাড়ীর কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।  
উক্ত ঘটনায় বরুড়া থানার অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (নি:) উত্তম কুমার সরকার জানান, আমাদের  থানায় অভিযোগ আসার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিউলী আক্তারকে (২৫) তার শশুরবাড়ীর একটি ঘরে দক্ষিন শিউরী শুয়ানো অবস্থায় পাই। সেখান থেকে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করি। ফরেনসিক বিভাগের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানতে পারবো ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তখন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।