Published : Thursday, 3 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 03.06.2021 1:35:42 AM
তানভীর
দিপু: করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমন রোধে বাধ্যতামূলক ১৪
দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩ জন ভারতফেরত। মোট ২৯৪ জন কুমিল্লার
বিভিন্ন হোটেলে কোয়ারিন্টিনে ছিলেন। যাদের ১৪ দিনের এই পর্বটি শেষ হয়েছে
তাদেরকেই বাড়ি ফিরতে দেয়া হচ্ছে। যারা ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া
স্থলবন্দর হয়ে যারা দেশে ফিরেছেন তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার
আবাসিক হোটেলগুলোতে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করাচ্ছেন
প্রশাসন। এসময়ে মধ্যে তাদের ২ বার করোনা ভাইরাসের র্যাপিড এ্যান্টিজেন
টেস্ট (আরটিপিসিআর) করা হয়েছে। তাদের কারো করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়নি। গতকাল
সকালে কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে
সভায় এসব তথ্য জানান জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহাদাৎ হোসেন।
এসময়
তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধে ভারতফেরতদের এই
কেয়ারেন্টিন কার্যক্রম চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হোটেলগুলোর ধারনক্ষমতা শেষ
হয়ে যাওয়াতেই কুমিল্লার হোটেল গুলোতে তাদের রাখা হচ্ছে।
শাহাদাৎ হোসেন
জানান, কোয়ারেন্টিনে যারা থাকছেন তাদের নানান বায়না নিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে
স্বাস্থ্য বিভাগকে। চিকিৎসা সেবার বাইরেও তারা বিভিন্ন সময় যে যে আবদার
করে তা শোভনীয় নয়। এই মহামারির সময়ে রাত বিরাতে তাদের চাহিদা পূরন করাও
সম্ভব হয় না। কিন্তু দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে তাদের বুঝা উচিত যে তারা
একটি বিপজ্জনক সময় পার করছেন- তাদেরকে আরো সহনশীল হতে হবে। কেউ কেউ
ব্যাক্তিগত নানান পণ্য ছাড়াও হোটেল ভাড়া কমানো-আর্থিক অসঙ্গতির কথা বলে
আবদার করেন এগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের পূরন করার কোন এখতিয়ার নাই।
এদিকে
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন কুমিল্লার কাগজকে জানান, ভারতীয়
ভ্যারিয়েন্ট রোধে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলবাহিনীর যৌথ সমন্বয়ে সীমান্ত
এলাকাগুলোতে পর্যবেক্ষণ চলছে। কেউ ওপার থেকে বেআইনীভাবে আসার সুযোগ নাই। গত
১২ দিনেরও বেশি সময় ধরে কুমিল্লা করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিতঅ।
আমরা এরই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এজন্য আরো কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি
মেনে চলা উচিত।