দেশে এক দিনে আরও ১ হাজার ৯৮৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৪ জনের। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ২ হাজার ১৭৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৪ হাজার ২৯৩ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৯১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৬৫ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে যায় এ বছর ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৩৫ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৯টি ল্যাবে ১৮ হাজার ২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার ২২টি নমুনা।
বুধবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২১ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ৩ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১১ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের এবং ৩ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৬৯৪ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১৬০ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫৩৪ জন নারী।