স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে কোচের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানলেন বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু। মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্থাম ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে বিদায় নেয়ার এক সপ্তাহ পর এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কানাডিয়ান টেনিসের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। মঙ্গলবার দীর্ঘকালীন কোচ সিলভাইন ব্রুনিয়াউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের সপ্তম স্থানে থাকা আন্দ্রেস্কু। এই জুটি দীর্ঘ চার বছর ধরে একসাথে কাজ করেছিল। তবে তাদের সেরা সাফল্য আসে ২০১৯ সালে। ইউএস ওপেনসহ সেবার তিন শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছিলেন আন্দ্রেস্কু-ব্রুনিয়াউ।
সেই সম্পর্কের ইতি টানলেন মঙ্গলবার। এ প্রসঙ্গে বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু তার টুইটার এ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয় দিয়ে আমি আমার অনুরাগীদের জানাতে চাই যে, আমার দীর্ঘকালীন কোচ, পরামর্শদাতা এবং বন্ধু, সিলভাইন এবং আমি পারস্পরিকভাবে আমাদের অবিশ্বাস্য কোচিং সম্পর্কটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে তাদের বন্ধুত্ব চিরদিন ঠিকে থাকার কথা জানিয়েছেন ইউএস ওপেনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব চিরকাল বেঁচে থাকবে। আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি এবং আমাদের দুর্দান্ত স্মৃতিগুলোর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সিলভাইন কোচের চেয়ে বেশি ছিলেন.. তিনি পরিবার।’ ২০১৮ সালের মার্চে একসঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন আন্দ্রেস্কু-ব্রুনিয়াউ। এই কোচের অধীনেই বিশ্ব টেনিসের পাদপদ্রীপের আলোয় উঠে এসেছেন কানাডিয়ান তারকা। ২০১৯ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পান বিয়াঙ্কা। সে বছরের অক্টোবরে ২৫৬ নম্বর থেকে বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বরে উঠে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু গত বছরটা ভালো কাটেনি তার। বিশেষ করে হাঁটুর চোট বেশ ভুগিয়েছে তাকে। সেজন্য ১৫ মাস কোর্টের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন তিনি।
তবে চলতি মৌসুমে আবারও কোর্টে ফিরেন বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কু। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্থাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মাধ্যমেই কোর্টে ফেরেন ২০ বছরের এই তরুণী। মেলবোর্নের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান তিনি। সুস্থ হয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনে নিজেকে মেলে ধরার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু রোঁলা গ্যারোঁতেও ব্যর্থ হয়েছেন বিয়াঙ্কা। প্রথম পর্বের ম্যাচে স্থাভেনিয়ার তামারা জিদানসেকের কাছে ৬-৭ (১), ৭-৬ (২) এবং ৯-৭ ব্যবধানে হার মানেন আন্দ্রেস্কু। ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছার পর ক্লে কোর্টে এটাই তার প্রথম হার। হারলেও সেই ম্যাচে লড়াই তিনি নিজের সেরাটা দিয়েই লড়াই করেছিলেন। র্যাঙ্কিংয়ের ৮৫ নম্বরে থাকা জিদানসেকের বিরুদ্ধে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট লড়াইয়ের পর হার নিয়ে কোর্ট ছেড়েছিলেন আগামী সপ্তাহেই ২১ বছরে পা রাখতে যাওয়া এই কানাডিয়ান তারকা।