মুন্সীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীদের হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছে। বুধবার (৯ জুন) বিকালে সদর উপজেলার কাজী কসবা নামক স্থানে নয়ন মিজি (৩৩) নামে এক যুবককে তার মা ও স্ত্রীর সামনেই মারধর ও ছুরিকাঘাত করে কিছু সন্ত্রাসী। আহত নয়ন মিজিকে প্রথমে স্থানীয় সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নয়ন স্থানীয় রামপাল ইউনিয়নের উত্তর কাজী কসবা এলাকার মৃত বাতেন মিজির ছেলে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানানে, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার বিকালে কাজী কসবা এলাকায় একটি পেপার মিলের সামনে নয়নকে পেয়ে প্রান্ত শেখ, শোভন, চঞ্চল, রনি, কাঞ্চনসহ ৭-৮জন ধরে রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে নয়নের মা রাশিদা বেগম ও স্ত্রী ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাদের সামনেই চাপাতি দিয়ে নয়নকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম ও আহত করা হয়। এসময় নয়নকে বাঁচাতে চিৎকার করলে তার স্ত্রীকেও মারধর করে প্রান্ত ও শোভন। পরে মারধরকারীরা নয়নকে মোটরসাইকেলে বেঁধে টেনে নিয়ে রাস্তার অদূরে ফেলে যায়। সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে প্রেরণ করা হয়। বুধবার রাতে তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) রাজিব খান জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্ত প্রান্ত তার লোকজন নিয়ে নয়ন মিজির ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ পেয়েছি। নয়নের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতসহ আঘাত করা হয়। এর আগে প্রান্তকে মারধরের মামলায় নয়ন ও তার ভাই আসামি ছিল। এর জের ধরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিম সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ আবেদিন বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে মারামারির অভিযোগ ও এখন হত্যা মামলা হয়েছে। এজহারনামীয় ৯ জন আসামির মধ্যে দুই জনকে ধরতে আমার সক্ষম হয়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।