স্বামী হিসেবে অভিনেত্রী নুসরাতের অস্বীকারের পর নতুন তথ্য দিয়েছেন নিখিল জৈন। তিনি জানিয়েছেন তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে জানালেন ব্যবসায়ী নিখিল জৈন। পাশাপাশি, বর্তমান বৈবাহিক জটিলতা আইনি পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে নিখিল স্পষ্ট করেছেন, আইন আইনের পথে চলবে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
নিখিল জৈন বলেন, ‘নুসরাতকে অনেকবার বলেছি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য, ও এড়িয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রেমে পড়ে আমি নুসরাতকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই। সেটি সে গ্রহণ করে। তুরস্কে ২০১৯ সালে আমাদের বিয়ে হয়। আমরা স্বামী- স্ত্রীর মতোই আচরণ করতাম। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সামনেও আমরা দম্পতি হিসেবেই দাঁড়াতাম। আমার খুব খারাপ লাগছে, সংবাদমাধ্যমে সারাক্ষণ আমাদের ছবি এবং আমাদের সম্পর্ক নিয়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না কারণ আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
লম্বা বিবৃতিতে ৮টি আলাদা পয়েন্টে ভাগ করে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন নিখিল। লিখেছেন, 'বিয়ের পর আমি আমার সময় থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই নুসরতের প্রতি উৎসর্গ করেছিলাম এবং দায়িত্ববান স্বামীর মতোই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বন্ধুরা, পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা সবকিছুই জানেন। আমি বহুবার আমাদের বিয়ে রেজিস্টার করানোর জন্য ওকে অনুরোধ করেছি। কিন্তু ও বিষয়টা এড়িয়ে গেছে। হঠাৎ করেই অল্প সময়ের মধ্যে ও আমার প্রতি ব্যবহার বদলে ফেলে। ২০২০-তে একটি সিনেমার কাজ চলাকালীন ওর আমার প্রতি ব্যবহার বদলে যায়।'
নিখিল আরও জানিয়েছেন, বিয়ের পর নুসরত যখন হোম লোনের চড়া সুদে জর্জরিত ছিল, তখন আমি আমার পরিবারের অ্যাকাউন্ট থেকে একটা বেশ কিছু পরিমান টাকা ওর অ্যকাউন্টে পাঠাই। কথা ছিল, সময় মতো ক্ষেপে ক্ষেপে সেই টাকা ও ফেরত দেবে। ও ওর মতো করে কিছু টাকা পরে আমার পরিবারের অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়েছে, তাতে ওর প্রতি আমার বিশ্বাসও তৈরি হয়। তবে এখনও বেশকিছু পরিমান টাকা বাকি রয়েছে। এখন ও যে অভিযোগ ও আনছে সেগুলি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। সত্য প্রমণ করার দরকার নেই, প্রমাণ সকলের সামনেই রয়েছে। আমার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্টই যথেষ্ট প্রমাণ। আমার পরিবারও ওকে মেয়ের মতো করেই দেখেছে। তাঁরা ভাবেননি যে এমন দিন দেখতে হবে।