যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি আইরিশ পানশালা। ঢুকলে চোখজোড়া সত্যি সত্যিই উঠে যাবে কপালে। দেয়াল তো বটেই, ছাদেও ঝুলছে রাশি রাশি ডলার।
দোকান সাজাতে গুনতে হয় অর্থ। আর তা দিয়ে কিছু না কিনে সরাসরি ওটাই জুড়ে দিয়ে বিখ্যাত হয়ে গেছে আইরিশ পানশালা ম্যাকগোয়ারস।
১৯৭৭ সাল থেকে পানশালাটি চালু করেন ম্যাকগোয়ারস দম্পতি। ডলার জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারটা শুরু করেন ম্যাকগোয়ারের স্ত্রী মলি। পানশালা খোলার পর প্রথম ১ ডলার বখশিস পান তিনি। আর সেই নোটে তারিখ লিখে আঠা দিয়ে জুড়ে দিয়েছিলেন দেয়ালে। এতে নাকি ভাগ্য ফিরবে তাদের। ফিরেছে ঠিকই।
সেই ১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত কত ডলার জমলো ১৫ হাজার বর্গফুটের দোকানটিতে? ১৯৯৯ সালে একদফা গুনে দেখা হয়েছিল। তখন ছিল প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। আর এখন আছে আনুমানিক ২ কোটি ডলার। টাকার অংকে যা প্রায় ১৭০ কোটি টাকা! আর এর সিংহভাগই এসেছে ক্রেতাদের দেওয়া টিপস থেকে।
ডলারের সমাহার দেখতে একবার হলেও এই পাবে ঢুঁ মারেন পর্যটকরা। বদ মতলব নিয়েও যে কেউ আসেন না তা নয়। পানশালার এক কর্মচারীই একবার দেয়াল থেকে তুলে নিয়েছিল পাঁচ হাজার ডলার। ধরাও পড়েছিলেন তিনি। কারণ ওই ডলারগুলোতে ছিল বিশেষ একটি মার্কারের দাগ। ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ব্যাংকের কর্মীই চিনে ফেলেন ডলারগুলো। খবর দেন দোকান মালিককে।
অনেকে আবার বিয়ার পান করে আলগোছে দেয়াল থেকেই নোট তুলে চেষ্টা করেন দাম পরিশোধ করার। ধরা পড়েন তারাও।
মজার বিষয় হলো ফ্লোরিডাতেই পানশালাটির একটি শাখা আছে। তাতেও দেখা যাবে একই দৃশ্য। সেখানে আপাতত ঝুলছে ১৭ লাখ ডলার।
সূত্র: স্পুকি