বগুড়ার সদর উপজেলায় ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আশিক পাইকার (২৫) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (১৪ জুন) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে রোববার (১৩ জুন) রাতে আশিকের নিজ ঘর থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত আশিক সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর তালুকদারপাড়া গ্রামের কোরমান আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ঢালাই মিস্ত্রি ছিলেন।
আশিকের স্বজনদের বরাত দিয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম জানান, আশিক তিনটি বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছিলেন। কিন্তু তার তৃতীয় স্ত্রী ইনী খাতুনের সঙ্গেও তার পারিবারিক কলহ চলছিল। এসব কারণে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন আশিক।
এসআই আরও জানান, রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কোনো এক সময় সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আশিক। রোববার রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।