আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক হতে চায়। শুধু তাই নয়, এককভাবে না পারলেও যৌথভাবে বিশ্বকাপেরও আয়োজক হতে চায় বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমনটাই জানালেন।এদিন মিরপুরে ক্রিকেট বোর্ডের সভা শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘বিশ্বকাপ পুরুষ ইভেন্টের জন্য অন্তত ১০টি ভেন্যু থাকতে হয়। সেটা এখন বাংলাদেশের জন্য কঠিন। এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন বাংলাদেশের জন্য আপাতত সম্ভব না। তাই আমরা যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী। তবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কম ভেন্যু লাগে। এটা এককভাবে আয়োজনের ক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য আলাদাভাবে বিড করব। আর বিশ্বকাপের জন্য জয়েন্টলি বিড করব। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে মিলে আমরা একসঙ্গে বিড করব।’উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের মতো জায়ান্ট ইভেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের আছে। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ছিল যৌথ আয়োজক। ভারত এবং শ্রীলংকার সঙ্গে মিলে বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। এরপর ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করে এককভাবে। মাঝে এশিয়া কাপের আয়োজকও হয়েছিল বাংলাদেশ।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনের প্রসঙ্গে পাপন বলে, এর জন্য ৮টি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন স্টেডিয়াম থাকতে হবে। তাও আমাদের নেই। তাই বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একক আয়োজক হওয়ার আমাদের সম্ভব নয়। যে কারণে আমরা এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হতে আবেদন করব।পূর্বাচলে বিসিবির নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নির্মিতব্য স্টেডিয়ামের সর্বশেষ আপডেট নিয়ে কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।বলেন, ‘করোনার কারণে বিষয়টির কাজ এগুচ্ছে না। একটা বিদেশি কোম্পানি এগিয়ে এসেও পারেনি কোভিডের কারণে। তাই দ্বিতীয় পরামর্শক পার্টি যারা এ জাতীয় কাজ করে থাকে তাদের অনুমতি দিচ্ছি স্টেডিয়াম নিয়ে এগোনোর।’