মো. হাবিবুর রহমান
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল গ্রামে একমাস বয়সী একটি জীবিত মেয়ে শিশু পাওয়া গেছে। গত রোববার দুপুরে শ্রীকাইল-নবীপুর সড়কের পাশে হুমায়ুন কবিরের দোতলা বাড়ীর নীচ তলার সিড়ির রুম থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ৩দিন হতে চলছে, কিন্তু এখনো সনাক্ত করা যায়নি শিশুটির পিতা-মাতার ঠিকানা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হুমায়ূন কবিরের স্ত্রী জাহানারা বেগম বলেন, আমরা দোতলার রুম থেকে দুপুরে অনেকক্ষণ ধরে নিচ তলায় একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। নেমে গিয়ে দেখি সিড়ির মুখে একটি শিশু ফ্লোরে পড়ে আছে। আশ-পাশে কাউকে দেখা পায়নি। তখন আমার স্বামীও নিচে নেমে আসে এবং শিশুটিকে কোলে তুলে নিতে বলেন। নিশ্চয়ই কেউ এখানে শিশুটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শিশুটির পরনে একটি হলুদ সাদা রংঙ্গের জামা ছিল। আনুমানিক বয়স এক মাস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এমকেআই জাবেদ বলেন, বিষয়টি জানার পর প্রথমে ইউএনও স্যারকে অবগত করি, পরে আমার ফেইসবুকে শিশুটির ছবিসহ পরিচয় সনাক্তের জন্য পোস্ট দেই। এতে প্রচার হওয়ার পর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নি:সন্তান দম্পত্তি ও অনেক পরিবার শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি হুমায়ূন কবিরের বাড়ীতে গিয়েও অনেকে টাকার বিনিময়েও শিশুটিকে নিতে প্রস্তাব দিচ্ছে। বিডিআর থেকে অবসরপ্রাপ্ত শ্রীকাইল বাজার ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবিরের পরিবারে ৪ মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। তবে ফেলে যাওয়া শিশুর লালন-পালন তারাই করতে চান। কারো নিকট বিক্রি বা দত্তক দিতে চান না।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক পাওয়া না গেলে লালন পালন করার জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।