ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ডিবি পরিচয়ে পোশাক কারখানায় ডাকাতি
Published : Wednesday, 16 June, 2021 at 7:11 PM
ডিবি পরিচয়ে পোশাক কারখানায় ডাকাতিগাজীপুরে ১৬ মাস আগে পোশাক কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. রবিউল শেখ (৩১) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তিনি গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর থানার কৃষ্ণপুর এলাকার মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুর পিবিআইয়ের এসআই মো. আরিফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় লি নভোটেক্স (প্রা.) লি. নামক একটি কারখানায় ডাকাতি ঘটে। এসময় ১০-১৫ জনের ডাকাত দল ডিবি পরিচয়ে কারখানায় ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তা কর্মীদের বেঁধে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ১০টি পিসির হার্ড ডিস্ক ও ২৬টি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ওই কারখানার এজিএম মো. আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে কারখানার সিকিউরিটি গার্ড ও দুজন ফ্লোর অপারেটরকে আসামি করে গাছা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গাছা থানা পুলিশ সাতজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে আদালতের কাছে এ মামলাটির তদন্ত যথাযথ হয়নি বলে প্রতীয়মান হওয়ায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি আবার তদন্তের জন্য পিবিআই গাজীপুরকে নির্দেশ দেন।

এরপর মঙ্গলবার (১৫ জুন) কারখানা থেকে লুট হওয়া একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন হরিদাসপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত আসামি রবিউল শেখকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল শেখ জানায়, তিনি প্রথম ঢাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। ব্য লোকসান হওয়ায় ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রিকশা চালানো শুরু করেন। পরবর্তীতে ডাকাত দলের কয়েক জনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করে সিকিউরিটি গার্ডদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ডাকাতি করেন।

এসআই আরো জানান, গ্রেফতার রবিউলের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের দলনেতাসহ অন্যান্য সদস্যদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার সঙ্গে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী জড়িত আছে কি-না তা তদন্ত করা হচ্ছে।

বুধবার রবিউলকে গাজীপুর আদালতে নেয়া হলে সেখানে তিনি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ও অন্যান্য আসামিদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।