ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জার্মানির আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের উৎসব
Published : Thursday, 17 June, 2021 at 12:00 AM
ম্যাট হামেলসের নিশ্চয়ই যন্ত্রণাময় রাত কাটবে। দলকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে যে ভিলেনই হয়ে গেলেন! প্রতিপরে নেওয়া ক্রসটি কিয়ার করতে গিয়ে জড়িয়ে দিলেন নিজেদের জালে। আর ওই আত্মঘাতী গোলেই কপাল পুড়েছে জার্মানির। বিপরীতে উৎসবে মাতোয়ারা ফ্রান্স। ইউরোর গ্রুপ পর্বের হাইভোল্টেজ ম্যাচ ১-০ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে মুখোমুখি লড়াইয়েও ফ্রান্স এগিয়ে গেলো। এ নিয়ে বড় কোনও ট্র্নুামেন্টে তারা মুখোমুখি হলো ষষ্ঠবার। তবে গ্রুপ পর্বে এবারই প্রথম। তাতে করে ফ্রান্স তিনবার জিতেছে, আর জার্মানি দুইবার। আর ড্র একটি।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হওয়া ‘এফ’ গ্রুপের খেলাটি এখন পর্যন্ত ইউরোতে বড় ম্যাচ। যে গ্রুপটি আসলে এবারের ইউরোর ‘গ্রুপ অব ডেথ’। সেখানে ফ্রান্স-জার্মানির ম্যাচটির আকর্ষণ যোগ করেছিল বাড়তি মাত্রা। হয়েছেও উপভোগ্য এক ম্যাচ। যেখানে আক্রমণের পসরা সাজিয়ে দুই দলই চেষ্টা করেছে ল্যভেদ করতে। বল দখলে যেমন জার্মানি এগিয়ে ছিল, তেমনি সুযোগ তৈরিতেও। কিন্তু দুর্ভাগ্য জার্মানদের আত্মঘাতী গোলটাই কাল হলো তাদের।
তবে প্রথমার্ধটা ছিল ফ্রান্সের। শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো ফরাসিরা। ১৫ মিনিটে পল পগবার হেড ক্রসবার উঁচিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি দিদিয়ের দেশমের দলের। দুই মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পের শট মানুয়েল নয়ার ঝাঁপিয়ে রুখে দিয়ে দলকে ম্যাচে রাখেন।
কিন্তু ২০ মিনিটে সেই আত্মঘাতী গোল। লুকাস হার্নান্দেজের বাঁ প্রান্তের ক্রসটি ডিফেন্ডার হামেলস কিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রুস-মুলাররা চেষ্টা করেছে শোধ দিতে। কিন্তু প্রতিপরে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়েছে। বিশেষ করে, জার্মানদের যেটা শক্তি, আক্রমণভাগে সেই হেড করার খেলোয়াড়ের বড্ড অভাব স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতির পর একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে জার্মানি। বিপরীতে ফ্রান্স খেলতে থাকে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তারা ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো, যদি আদ্রিয়েন রাবিয়োতের শট সাইড পোস্টে না লাগতো।
৫৪ মিনিটে জার্মানরা পায় সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ। কিন্তু সের্গি জিনাব্রি ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় তাদের। জার্মানির পজেশন নির্ভর ফুটবলের বিপরীতে প্রতিআক্রমণে গিয়ে ৬৬ মিনিটে তো গোল পেয়েই গিয়েছিল ফ্রান্স। যদিও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় এমবাপ্পের ল্যভেদ। একই কারণে শেষ দিকে করিম বেনজেমার একটি গোলও বাতিল হয়েছে।
জার্মানি অবশ্য বল জালেই জড়াতে পারেনি। যেটি জড়িয়েছে, তা আবার নিজেদের জালেই! আর ওই আত্মঘাতী গোলই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ফ্রান্স-জার্মানি ম্যাচের। যেখানে জয়ের উৎসবে মতোয়ারা ফ্রান্স, বিপরীতে হতাশায় মুখ লুকিয়ে জার্মানদের মাঠ ছাড়া দৃশ্য!