প্রদীপ মজুমদার :
কুমিল্লার লালমাই থেকে অপহৃত এক স্কুল ছাত্রীকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে লালমাই থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব।
গ্রেফতারকৃতরা  হলেন- উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মিতল্লা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে হেলাল উদ্দিন, গৈয়ারভাঙ্গা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে মো.নাইম, তার স্ত্রী জান্নাত বেগম ও উত্তড্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাহ আলম।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গৈয়ারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী (১৬) মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে স্কুলে যাওয়ার সময় মিতল্লা নামক স্থান থেকে একটি মাইক্রোযোগে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম মেম্বার ও তার ছেলে হেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দুপুরে লালমাই থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৭ ঘণ্টার মধ্যেই প্রযুক্তির সহায়তায় লালমাই  থানার সেকেন্ড অফিসার জীবন রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে  চট্টগ্রামের ভোজপুর থানার দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আওয়াতাধীন আন্দারমানিক গ্রামের আবদুল হান্নানের বসত ঘর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পরে সেখান থেকেই ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহৃতার পিতা মোঃ ইমাম হোসেন পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, লালমাই থানা পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। অপহরণনের ১২ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, অপহরণের ১২ ঘণ্টা আর মামলা দায়েরের ৭ ঘণ্টার মধ্যেই প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।