বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রথম তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার একটা পুরনো অসুখ যেটা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়- আর্থারাইটিসও রয়েছে। এই সবগুলো মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪২নং ওয়ার্ডের বেরাইদ এলাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া কোভিডের যে আক্রমণ তা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, উনার (খালেদা জিয়া) পরিবার আবেদন করেছেন সরকারের কাছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। তাকে সেই সুযোগ দেয়নি। সরকারকে আহ্বান জানাব, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে এই মহান নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং দেশকে উন্নত করার জন্য তার বহু অবদান রয়েছে তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে তার আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া চান বিএনপি মহাসচিব।
কোভিডসহ নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালে ভর্তির ৬ দিন পর (৩ মে) শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে থাকতে হয়েছে এক মাস। পরে অবস্থার উন্নতি হলে গত ৩ জুন কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন ৯ মে।