মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর উপর জোর দিয়েছেন, তাই এ কর্মসূচীকে সফল করতে আমি সাধ্যমত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বৃক্ষরোপন ও বিতরণ কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। এর সুফল পেতে আপনারা এ গাছগুলোকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচী শুরু করার প্রাক্কালে আমেরিকা প্রবাসী মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত করোনা যোদ্ধা ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার'র ভিডিওকলে ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মোঃ মফিজুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে এবং ন্যাপ উপজেলা সাধারন সম্পাদক মমিনুর রহমান বুলবুল মাষ্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি উপজেলা সাধারন সম্পাদক সৈয়দ খলিলুর রহমান বাবুল, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এ,কে,এম কামরুজ্জামান মাসুদ, অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, আবুল কালাম আজাদ মেম্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভূইঁয়া, ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবীর, উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগ সভাপতি শাহিনুর আক্তার লিপি, আয়শা আক্তার মুক্তা, মোঃ আব্দুর রহমান ভূইঁয়া, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ মাজহারুল ইসলাম মাষ্টার প্রমূখ। বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখন্ডের কমপক্ষে ২৫ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে সে পরিমান বনায়ন না থাকলেও যেটুকু আছে তাও নির্বিচারে ধ্বংস করে যাচ্ছি। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে এবং বন উজাড় করছে। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কল কারখানা। রাস্তার যানবাহনের চলাচল কারখানার গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাতাসে বাড়ছে কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ। ক্ষয় হচ্ছে বাতাসের ওজোন স্তর, সৃষ্টি হচ্ছে গ্রীন হাউস এফেক্ট। দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি এই সব ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই পরিবেশ ভারসম্য রক্ষায় ডাঃ ফেরদৌস খন্দকারের ‘প্রতিটি বাড়ি হবে এক একটি অক্সিজেন ফ্যাক্টরী’ এ মহত উদ্যোগটি আজ সময়োাপযোগী। তাই সকলে আসুন বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজেদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করি।
পরে ইউপি কার্যালয়ের সামনে ফলদ- বৃক্ষের চারা রোপন ও সাধারন মানুষের মাঝে বৃক্ষচারা বিতরণ করা হয়।