অবশেষে উইন্ডোজ-১১ অপারেটিং সিস্টেম অবমুক্ত করেছে মাইক্রোসফট। নতুন অপারেটিং সিস্টেমটির বিভিন্ন ফিচার সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে তারা। একই সঙ্গে উইন্ডোজ-ভিত্তিক ল্যাপটপ ও ডেস্কটপে কীভাবে নতুন সিস্টেমটি পাওয়া যাবে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ভারতের প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম গেজেটস নাউয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উইন্ডোজ-১১ চালাতে বা আপডেট দিতে হলে ‘মিনিমাম সিস্টেম রিকয়ারমেন্টস’ পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ, মাইক্রোসফটের নির্ধারণ করে দেওয়া এমন কিছু সক্ষমতা আপনার কম্পিউটারে থাকতে হবে যাতে নতুন অপারেটিং সিস্টেমটি চালানো যায়।
উইন্ডোজ-১১ ব্যবহার করতে হার্ডওয়্যার সক্ষমতার পাশাপাশি সফটওয়্যার ও ফিচার সক্ষমতাও পূরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। কোনও কারণে এসব সক্ষমতা না থাকলে মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দেওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে পুরনো অপারেটিং সিস্টেমেই থাকতে হবে।
মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য সর্বনিম্ন ৪ গিগা র্যাম লাগবে, স্টোরেজের প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ৬৪ গিগা। ৯ ইঞ্চির কম ডিসপ্লে হলে এবং অন্তত ১৩৬৬দ্ধ৭৬৮ পিক্সেলের রেজ্যুলেশন না থাকলে চলবে না উইন্ডোজ-১১। এছাড়া এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হলে আপনার ডিভাইসে ইউইএফআই সাপোর্ট, সিকিউর বুট অ্যান্ড টিপিএম ২.০ সাপোর্ট এবং ডিরেক্ট-এক্স ১২ কম্পাটিবল গ্রাফিক্স বা ডব্লিউডব্লিউডিএম ২.এক্স থাকতে হবে।
যে কারও ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে সাধারণ এই সক্ষমতাগুলো থাকলে উইন্ডোজ-১১ আপডেট দেওয়া যাবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম কেবল ৬৪ বিট প্রসেসরেই সাপোর্ট করছে এবং এটির ৩২ বিট ভার্সন পাওয়া যাবে না।