কোপা আমেরিকার প্রথম পর্ব, মানে গ্রুপ পর্ব দারুণ কেটেছে আর্জেন্টিনার। চিলির বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচের ড্র বাদ দিলে কেবল জয়ই সঙ্গী লিওনেল মেসিদের। এবার মিশন কোয়ার্টার ফাইনাল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। অনেক কষ্টে ইকুয়েডর শেষ আটের টিকিট পেলেও আর্জেন্টিনার পূর্ণ সমীহ পাচ্ছে তারা।
‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইকুয়েডর। অবশ্য এতে আছে পেরুর অবদানও! তারা ভেনেজুয়েলাকে হারিয়ে না দিলে সমীকরণ হতো অন্যরকম। এত কষ্টে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা ইকুয়েডরের বিপক্ষে আগামী রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালে লড়বে ফর্মের তুঙ্গে থাকা আর্জেন্টিনা।
তাই বলে আলবিসেলেস্তেরা গা ছেড়ে দিচ্ছে না। বরং ইকুয়েডরকে সমীহ করে তাদের বিপক্ষে সেরাটা দেওয়াটার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বলিভিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কলানি জানিয়েছেন তেমনটাই। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরকে আর্জেন্টাইন কোচ দেখছেন এভাবে, ‘আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাটাই আছে ইকুয়েডরের প্রতি। তারা দেখিয়েছে তারা কতটা ভালো, তারুণ্যনির্ভর ও শক্তিশালী দল।’
প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের পারফরম্যান্সেই আসলে নজর আর্জেন্টিনার। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচে শক্তির জায়গা দেখিয়েছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা। সেখানে উন্নতি জায়গা থাকলেও সবমিলিয়ে দলের পারফরম্যান্সে তৃপ্ত স্কলানি, ‘মাঠে ১১ জন খেলোয়াড় থাকলেও প্রত্যেকে দেখিয়ে সবাই মিলে একটা দল। আপনি পুরো ৯০ মিনিট আধিপত্য ধরে রাখতে পারবেন না। কখনও ক্লান্তি ভর করতেই পারে। আর এটা যৌক্তিক। কিছু বিষয়ে অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে, তবে আমরা তৃপ্ত।’
দল হিসেবে পারফর্ম করাটাই সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিচ্ছে আর্জেন্টাইন কোচকে, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল যত বেশি সুযোগ তৈরি করা যায়। মাঠের অবস্থা যদিও ভালো ছিল না। তারপরও খেলোয়াড়দের কাছে বার্তা পরিষ্কার ছিল। আমরা জিতেছি এবং দলের মনোভাবে আমি খুশি।’