মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা বাড়ায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। দেখা দিয়েছে অতি বর্ষণের আভাস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৯ জুন) দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। তবে কোথাও কোথাও ঝড়ের সঙ্গে অতিভারী বর্ষণও রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, সিনপটিক অবস্থা মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে এসময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিমি।
এদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বদলগাছিতে, ১৩৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে, ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৫ মিলিমিটার ও ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।