১৫-০, ৩০-০, ৪০-০, গেম, সেট। টানা চারটি ‘এস’ মেরে এভাবেই মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে উইলম্বডনে একটি গেম জিতে নিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। সে সঙ্গে জিতে নেন সেই সেটটাও।
সোমবার উইলম্বডনের প্রথম রাউন্ডে জ্যাক ড্র্যাপারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন সার্বিয়ান তারকা। বিশ্বের ২৫৩ নম্বর খেলোয়াড় ড্র্যাপারের বিরুদ্ধে জোকোভিচ হেসেখেলে জিতবেন বলে ধরেই নিয়েছিলেন টেনিস সমর্থকরা।
কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই ধাক্কা খান বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। হেরে যান ৪-৬ গেমে। শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার পর অবশ্য আর ফিরে তাকাতে হয়নি জকোভিচকে। পরের তিনটি সেট ৬-১, ৬-২, ৬-২ গেমে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যান।
ষষ্ঠ উইলম্বডন শিরোপা এবং ক্যারিয়ারের ২০তম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার লক্ষ্য নিয়ে অল ইংল্যান্ড কোর্টে নেমেছেন জোকার। সে সঙ্গে ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ‘ক্যালেন্ডার স্ল্যাম’ (একই বছরে চারটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়) জয়ের দৌড়েও রয়েছেন।
এরইমধ্যে ৫-২ গেমে এগিয়ে থাকা অবস্থায় তৃতীয় সেটের অষ্টম গেমে সার্ভিস করছিলেন জকোভিচ। সার্ভিস গেম জিতলেই তৃতীয় সেট জিতে নিতেন। সেই গেমে টানা চারটি ‘এস’ মারেন। মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই সেই গেম জিতে তৃতীয় সেট পকেটে পুরে নেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। তার সেই নিখুঁত সার্ভিস গেমে মুগ্ধ হয়েছে টেনিস বিশ্ব।
তবে উইলম্বডনের ইতিহাসে এই প্রথম এক মিনিটের নিচে কোনও গেম শেষ হল না। ২০১৮ সালের দ্বিতীয় রাউন্ডে রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ সেকেন্ডে গেম জিতেছিলেন লুকাস রোসোল।
শুধু তাই নয়, পাঁচ সেটের লড়াইয়ে নাদালকে ছিটকেও দিয়েছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়। তবে জোকোভিচের মতো চারটি ‘এস’ মেরে সেই গেম জিততে পারেননি রোসোল। দুটি ‘এস’ মেরেছিলেন। দুটি সার্ভিস ফেরাতে পারেননি নাদাল।