ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দ্বিতীয় দিনেও ঢিলেঢালা লকডাউন কুমিল্লায়
Published : Wednesday, 30 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 30.06.2021 1:08:01 AM
দ্বিতীয় দিনেও ঢিলেঢালা লকডাউন কুমিল্লায়তানভীর দিপু: কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার ৩০ শতাংশের আশেপাশে উঠা-নামা করছে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। স্বাস্থ্যবিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও বলছেন- নানান আশংকার কথা। তারপরও সরকারি ঘোষনার দ্বিতীয় দিনেও কুমিল্লায় ঢিলেঢালা লকডাউনের চিত্র দেখা গেছে। কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলা সদরে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা লক্ষ্য করা গেছে। নগরীতে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন অনেকেই। এদিকে লকডাউন নির্দেশনা মানাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২০ মামলায় ৭ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এদিকে লকডাউনে সরকারি বিধি ভঙ্গ করায় নগরীর বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশাকে আটক করে টাউন হল মাঠে প্রায় ৪ ঘন্টা আটকে রাখে জেলা পুলিশ। তাদেরকে লকডাউন আইন মানতে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।   
জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, করোনা পরিস্থিতি কুমিল্লায় ক্রমাগত অবনতির দিকেই যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রনের বাইরে না গেলেও সংক্রমণ রোধে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকাকে অন্যান্য উপজেলাগুলো থেকে আলাদা করার পরিকল্পনা চলছে।
গত ৩ দিনেই কুমিল্লা সিটিতে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২৭৩ জন। এই তিন দিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছেন ১ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৩৪ জন। অর্থাৎ গড়ে সংক্রমনের হার ২৯ শতাংশ। অন্যদিকে গত তিন দিনে মোট শনাক্তের ৬২ শতাংশই কুমিল্লা সিটি এলাকার।  
এদিকে সিটিতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনে আনতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশও। নগরীতে অতিরিক্ত যানবাহন প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছেন তারা। ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর এমদাদুল হক জানান, আমরা সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি। গতকাল যেসব সিএনজিকে আটক করে টাউন হলে রাখা হয় তাদেরকে কিছু সময় পর জরিমানা না করে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কঠোর লকডাউনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আরো যা যা নির্দেশনা আসবে আমরা সে মোতাবেকই কাজ করবো।
এদিকে লকডাউনের মধ্যেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মিনিট্রাকে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ফেণী, নোয়াখালী, চাঁদপুরের যাত্রী পরিবহনের চিত্রও দেখা গেছে অহরহ। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় যাত্রী নেয়ার পাশাপাশি এসব যানবাহনে মানা হয় নি কোন স্বাস্থ্যবিধি অনেক যাত্রী ও চালকের মুখে মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখা যায় নি। এছাড়া গাদাগাদি করেই যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে এসব যানবাহনে।