ভারতে তিন মাস পর একদিনে ৪০ হাজারের কম রোগী পাওয়ার পরদিনই দৈনিক শনাক্ত বেড়ে গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৪৫ হাজার ৯৫১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার দেশটিতে ৩৭৫৬৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু একদিন পরই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আট হাজারেরও বেশি বেড়ে গেছে।
নতুন আক্রান্তদের নিয়ে ভারতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার ৮৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত।
দেশটিতে আরও ৮১৭ জন কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৪৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক মৃত্যুর এ সংখ্যা ৭৮ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন আর এই নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশটিতে মৃত্যুর সংখা এক হাজারের নিচে থাকল। মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত।
ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪ জন। এ সংখ্যা শনাক্ত মোট রোগীর মাত্র এক দশমিক ৭৭ শতাংশ। টানা ৪৮ দিন ধরে দেশটিতে নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হওয়া লোকের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। সেখানে টানা ২৩ দিন ধরে পজিটিভিটির হার পাঁচ শতাংশের নিচে আছে।
জানুয়ারিতে ভারতজুড়ে গণটিকাদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ কোটিরও বেশি লোক করোনাভাইরাস টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। দেশটির সরকার চলতি বছরের মধ্যেই সব পূর্ণবয়স্ক লোককে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় ভারতজুড়ে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। তবে লকডাউন পুরোপুরি তুলে নিলে হঠাৎ করে সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে মহামারীর তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা প্লাস নিয়ে শঙ্কার মধ্যেই দেশটির মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, গুজরাট, কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিল নাডু, ওডিশা, রাজস্থান, জম্মু ও কর্নাটক ধরনটিতে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে।