বাংলাদেশের
নাগরিকত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার মাঠে নেমেই এলিটা কিংসলে গোল পেয়েছিলেন। তার
গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে নিজের ছায়া
হয়ে রইলেন নাইজেরিয়ায় জন্ম নেওয়া এই ফরোয়ার্ড। তিনি না পারলেও পেরেছেন
আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার রাউল অস্কার বেসেরা। তার শেষ মুহূর্তের গোলে
মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা।
বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয়
স্টেডিয়ামে বসুন্ধরার সঙ্গে সমানতালে লড়াই করার চেষ্টা করেছে মোহামেডান।
আক্রমণও কম করেনি শন লেনের দল। কিন্তু ল্যভেদ করতে পারেনি। আর বসুন্ধরা
আক্রমণের চাপ ধরে রেখে সফল হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমের চতুর্থ
মিনিটে। দুই লাল কার্ডের ম্যাচে শেষ মুহূর্তে এসে ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়েছে
বসুন্ধরা।
১৭ ম্যাচে ১৬তম জয়ে ৪৯ পয়েন্ট অস্কার ব্রুজনের দলের। আর মোহামেডান সমান ম্যাচে চতুর্থ হারে আগের ২৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে।
প্রথম
মিনিটের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেতে পারতো মোহামেডান। সতীর্থের কর্নারে
কৌলিদিয়াতির হেড আটকে দলের ত্রাতা গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। ১৭ মিনিটে
বিপলু আহমেদের ব্যাক পাস রবিনিয়োর পা ঘুরে পেয়ে যান বেসেরা। রণভেদ করে
বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ছুটে এসে নিখুঁত স্লাইডে
কিয়ার করেন গোলকিপার সুজন হোসেন।
২৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় মোহামেডান।
প্রতিপরে বিপলুকে আটকে বাইরে বেরিয়ে আসা গোলকিপার সুজনের হাতে বল লাগলে
তাকে লালকার্ড দেখান রেফারি। ১০ জনের দলে পরিণত মোহামেডান।
তারপরও সুযোগ পেয়েছে সাদা-কালোরা। ৩২ মিনিটে ইয়াসানের ক্রসে সুলেমানে দিয়াবাতের ফিক ল্যভ্রষ্ট হয়। একটু পর ইয়াসানের হেড ফেরান জিকো।
বিরতির
পর ৫৬ মিনিটে কিংসলে মাঠের বাইরে চলে যান। তার জায়গায় সুফিল নামেন। আজকের
ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েছিলেন কিংসলে। ৭৬ মিনিটে ইয়াসিন খান লাল কার্ড দেখলে
বসুন্ধরাও ১০ জন নিয়ে খেলেছে বাকি সময়। ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল, ঠিক
তখনই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার বেসেরা ৩ পয়েন্ট এনে দেন বসুন্ধরাকে।
যোগ
করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রবিনিয়োর চিপ থেকে বেসেরা গোলকিপারের মাথার ওপর
দিয়ে ল্যভেদ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে দুই দলের সাইড লাইনের
খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হয়। তবে তা বেশি দূর গড়ায়নি।