ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনার টিকা উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে চায় সৌদি আরব
Published : Thursday, 1 July, 2021 at 1:17 PM
করোনার টিকা উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে চায় সৌদি আরবকরোনার টিকা উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার জন্য সৌদি আরব প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের সুপারভাইজার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল রাবেহ।

ইতালির ব্রিন্ডিসিতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে বুধবার করোনাভাইরাস নিয়ে জি২০ এর এক সভায় তিনি এ কথা জানান।

ড. আবদুল্লাহ বলেন, সৌদি আরব করোনার টিকা উৎপাদনের আঞ্চলিক কেন্দ্র হওয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের সুপারভাইজার জেনারেল বলেন, সৌদি আরব করোনার টিকা ছাড়াও অন্যান্য ওষুধ তৈরি এবং সরবরাহের আঞ্চলিক কেন্দ্র হতেও প্রস্তুত।

তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশ করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। দেশগুলোতে এখনও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। টিকার অভাব সংকট আরও ঘনীভূত করছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারি সামাল দিতে এবং মানুষের জীবন রক্ষায় আমাদের  একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  

ড. আবদুল্লাহ আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও বাস্তব বিষয়টি হচ্ছে— বহু দেশে এখনও করোনাভাইরাস অত্যন্ত দ্রুত ছড়াচ্ছে।  মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন এবং অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আর করোনা নিয়ন্ত্রণে সব দেশের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে সৌদি আরব পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। 

আঞ্চলিক কেন্দ্র হতে চাওয়ার বিষয়ে ড. আবদুল্লাহ বলেন, আঞ্চলিক ক্ষেত্রে করোনার টিকা ও অন্যান্য ওষুধ উৎপাদন এবং সরবরাহ ভ্যাকসিন সহজলভ্য করবে। একই সঙ্গে তৈরি করবে কর্মসংস্থান এবং বাড়াবে আঞ্চলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা।

ড. আবদুল্লাহ সভায় জানান, করোনা মহামারি সামলাতে সৌদি আরব ইতোমধ্যে ৭১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। 

কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড রিলিফ সেন্টারের সুপারভাইজার জেনারেল সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে দেওয়া সহায়তার বিষয় তুলে ধরেন।
চীনের উহান থেকে ২০১৯ সালে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস।  এর পর দ্রুতই চীন এ মহামারি সামাল দিতে সক্ষম হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ভাইরাসের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখ ৬২ হাজার মানুষের।  আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ২৯ লাখ মানুষ।